প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরাখণ্ডের মুখবায় মা গঙ্গার শীতকালীন আস্তানায় পূজা করেছেন। তিনি সেখানকার হিমালয়ের অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করেন এবং জনগণের সঙ্গে কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরাখণ্ডের মুখবায় মা গঙ্গার শীতকালীন আস্তানায় পূজা করেছেন। আজই তিনি দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ডে পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি এদিনই কথা বলবেন স্থানীয়দের সঙ্গে। উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক শোভায় মগ্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। রাজ্যের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী ধামি। 
প্রধানমন্ত্রী মোদী মুখবায় হিমালয়ের অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করেন এবং সেখানকার জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। 
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে মুখীমঠ (মুখবা)-কে প্রতিষ্ঠা করার এবং রাজ্যের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেছেন, "মুখবায় এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে আমরা সকলেই গর্বিত। রাজ্যের সমস্ত জনগণের পক্ষ থেকে, শীতকালে দেবভূমি উত্তরাখণ্ড সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক স্বাগত এবং অভিনন্দন।"
প্রধানমন্ত্রী মোদী ট্রেক এবং বাইক র্যালির ফ্ল্যাগ অফ করবেন এবং হারসিলে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন। তার সফরের আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী পর্যটনকে উৎসাহিত করে রাজ্যের পর্যটন বিকাশে তার সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মোদী যাওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিলেন “আমরা দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে পর্যটনকে উৎসাহিত করে রাজ্যের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রসঙ্গে, আগামিকাল সকাল প্রায় ৯:৩০ টায় মুখবায় মা গঙ্গার পূজা করার সুযোগ পাব। এর পর, হারসিলে আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব”। প্রধানমন্ত্রী তার মুখবা মন্দির সফর নিয়ে তার উত্তেজনা ব্যক্ত করেছেন, যা বিশ্বব্যাপী তার আধ্যাত্মিক গুরুত্ব এবং আশ্চর্যজনক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। "পবিত্র এবং বিশুদ্ধ মা গঙ্গার শীতকালীন বাসস্থান মুখবায় যাওয়ার জন্য আমি খুব উত্তেজিত। এই পবিত্র স্থান তার আধ্যাত্মিক গুরুত্ব এবং আশ্চর্যজনক সৌন্দর্যের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। শুধু তাই নয়, এটি আমাদের 'ঐতিহ্য এবং উন্নয়ন'-এর সংকল্পের একটি অনন্য উদাহরণ", তিনি বলেছেন। উত্তরাখণ্ড সরকার এই বছর একটি শীতকালীন পর্যটন কার্যক্রম শুরু করেছে। হাজার হাজার ভক্ত ইতিমধ্যে গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথের শীতকালীন আস্তানা পরিদর্শন করেছেন। এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হল ধর্মীয় পর্যটনকে উৎসাহিত করা এবং স্থানীয় অর্থনীতি, হোমস্টে এবং পর্যটন ব্যবসাকে উন্নত করা।
