সংক্ষিপ্ত
- দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক
- মঙ্গলবার ছিল প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের প্রথম দিন
- এদিন যেসব রাজ্যের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাবে ভাল তারা হাজির ছিল
- করোনা মোকাবিলায় আগামী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা
দেশে গত ২৪ মার্চ মাঝরাতে প্রথম লকডাউন শুরু হয়। চার দফার সেই লকডাউন শেষ হয়েছে গত ৩১ মে। তার পর থেকে শুরু হয়েছে আনলক-১। অর্থাৎ ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। খুলে দেওয়া হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। পুরো জুন মাস ধরে এই আনলক-১ চলবে। কিন্তু এই পর্বে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ফের একবার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এবারের বৈঠর ২ দিনের। প্রথমদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার দেশের ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অনলাইন বৈঠকে।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। দেশে সংক্রমণ তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। সেই কারণে বিশ্বের বহু দেশ ভারতের প্রশংসা করছে বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘করোনার সংক্রমণ রুখতে মাস্ককে অপরিহার্য করে তুলতে হবে। এখনও মেনে চলতে হবে দু’গজ দূরত্বের বিধি। পাশাপাশি মাঝে মাঝে হাত ধোয়ার অভ্যেসও চালিয়ে যেতে হবে।’’
আনলক-১ পর্বে ধীরে ধীরে অর্থনীতি গতি পাচ্ছে বলেও এ দিন দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে আমরা যে পদক্ষেপ করেছি, তার ফলে ধীরে ধীরে চাঙ্গা হচ্ছে আমাদের অর্থনীতি। তাঁর কথায়, ‘গত কয়েক সপ্তাহে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরেছেন। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে দেশের অর্থনীতি।’’ করোনার মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রকল্পে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র শিল্পের মালিকরা সুবিধা পাচ্ছেন বলে এ দিন দাবি করেন তিনি।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার এক কর্নেল এবং দুই জওয়ানের মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বৈঠক নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে দুপুরের দিকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, বৈঠক হবে নির্ধারিত সময়েই। সেই মতো দুপুর তিনটে নাগাদ অনলাইন বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। । করোনায় যে যে রাজ্যের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো সেই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই এ দিন বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের করোনা পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা নিয়ে রাজ্যগুলির কাছে এদিন তথ্য চান প্রধানমন্ত্রী। প্রতিলাখে করোনা ভাইপাসে মৃত্যুর সংখ্যাও জানতে চান। করোনায় মৃত্যু নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে তাঁকে। করোনা মোকাবিলায় কোনও রকম আপোস করা হবে না বলেই বার্তা দেন তিনি।