সংক্ষিপ্ত


মোদীর হাতে ভোজপত্র তুলে দেন নীতি - মানা উপত্যকার উপজাতি সম্প্রদায়। এটি স্থানীদের প্রাচীন একটি ঐতিহ্য। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হয়ে পুরোটাই।


উত্তরাখণ্ড সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই শুক্রবার যোশীমঠে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা বিশেষত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ মোদীর হাতে একটি ভোজপত্র উপহার হিসেবে তুলে দেন। তাতে ভারতের পবিত্র তীর্থস্থানগুলিকে আরও সুন্দর আর সুসজ্জিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজের প্রশংসা করেছেন। ভারতীয় সংস্কৃতি রক্ষা করা ও তার প্রচারের জন্য মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

এদিন মোদীর হাতে ভোজপত্র তুলে দেন নীতি - মানা উপত্যকার উপজাতি সম্প্রদায়। মানার ভ্যান  পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীমতি বিনা বাডওয়াল এই ভোজ্যপত্র প্রদান করেন। উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই এই ভোজপত্র তৈরি হয়েছে। এটি তৈরি করা হয়েছে, প্রাকৃতিক রঞ্জক যা চুনাপাথর, পাতা আর ফুল দিয়ে তৈরি করা একপ্রকার কালি দিয়ে। রিংগাল থেকে তৈরি করা কলম ব্যবহার করেই এই ভোজপত্র লেখা হয়েছে। হিমালয়ান বার্চ গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়েছে। এটি একরকম পর্ণমোচী গাছ , যা পশ্চিম হিমালয়ের উচ্চ এলাকা বিশেষত ২৫০০-৩৫০০ মিটার  উঁচুতে পাওয়া যায়।  এই বার্চ গাছের উল্লেখ রয়েছে মহাভারত ও অন্যান্য ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যে। 

উত্তরাখণ্ড সফরে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি কয়েকটি মেগা প্রকল্পের সূচনা করেন। কেদারনাথ ও বদ্রীনাথের মন্দিরে প্রার্থনা করে তিনি চামোলি জেলার মানা গ্রামে যান। সেখানে জনসভায় ভাষণদেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, "আজ আমি বাবা কেদার এবং বদ্রী বিশাল জির পূজা করার পরে আনন্দিত এবং অপরিমেয় আশীর্বাদ বোধ করছি। মানা গ্রাম ভারতের শেষ গ্রাম হিসাবে পরিচিত কিন্তু আমি মনে করি যে প্রতিটি গ্রাম সীমান্তই আমাদের দেশের প্রথম গ্রাম। সীমান্তে যারা থাকে তারা সবাই ভারতের রক্ষক।"

প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন যে তিনি উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন এবং প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলেছেন যারা প্রকল্পগুলিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। "এই এলাকাটি খুব জটিল এবং কাজের অবস্থা সহজ নয়। আমি তাদের নিরাপত্তা কামনা করি। যখন আমি শ্রমিক এবং প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলেছিলাম তারা আমাকে বলেছিল যে এটি শ্রমের কাজ নয়, এটি প্রভুর সেবা করার বিষয়ে," বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।