সংক্ষিপ্ত

বাদল অধিবেশনের আগে সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলোচনা হতে পারে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ -সহ একাধিক বিষয় নিয়ে।

 

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। আর আগেই অবশ্য পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল হতে পারে। কারণ সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন। এই বৈঠক দিল্লিতে প্রগতি ময়দানে নবনির্মিত কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা দলের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক চলেছিল। সূত্রের খবর সেখানেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের কথা আলোচনা হয়েছিল। সূত্রের খবর এমন মন্ত্রিসভা তৈরি করা হবে যা পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ কর্ণাটক নির্বাচনে হার এখনও মেনে নিতে পারেনি বিজেপি।

বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় শাসক দল ইতিনমধ্যেই রাজস্থান, ছত্তিশড়, মধ্যপ্রদেশ, তেলাঙ্গনা ও মিজোরামে নির্বাচনি প্রচার ও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এই বছরই এই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। যা বিজেপির কাছে অবশ্যই লোকসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে সূত্রের খবর মহারাষ্ট্রে এনসিপি নেতা অজিক পাওয়ার ও তাঁর দলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক বিজেপি ও শিবসেনা সরকারে যোগ দিয়েছেন। যা নিয়ে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় ক্যাবিনেট বৈঠকেও সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সূত্রের খবর দীর্ঘ দিনের কেন্দ্রীয় ছিলেন মন্ত্রী প্রফুল্ল প্যাটেল। তিনিও অজিত পাওয়ারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি-শিবসেনাতে এসেছেন। অনেকেই মনে করছে পুরষ্কার স্বরূপ তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে। তাই নিয়েও আজ আলোচনা হতে পারে। এবার দেখের প্রফুল্ল প্যাটেলের ভাগ্যে সিঁকে ছেঁড়ে কিনা।

অজিত পাওয়ারের ডিগবাজি খাওয়ার পরেই শরদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, 'আমি অত্যান্ত খুশি যে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি অভিযোগ থেকে কিছু এনসিপি কর্মীকে মুক্তি দিয়েছেন। কারণ তারা এখন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী।' তবে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন আজ যে ঘটনা ঘটেছে তাতে তিনি মোটেও বিচলিত নন। এর পূর্বাভাস তাঁর কাছে ছিল। তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। তাদের সমর্থন রয়েছেন তাঁর ও তাঁর দলের ওপর। কেউ যগি এনসিপিরি ওপর মালিকানা জাহি করে তাতেও কোনও সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি মহারাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এবার তিনি ভোট চাইতে ও দল গঠন করতে তাদের দ্বরস্থ হবে। মহারাষ্ট্রের জনগণ তাঁকে পূর্ণ সমর্থন জানাবেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

আগামী ২০ জুলাই শুরু হবে বর্ষা অধিবেশন। এইটিও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। এই অধিবেশনে পাশ হতে পারে একাধিক বিল। যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

আরও পড়ুনঃ

'প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ', ভাইপোর বিদ্রোহ নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্য শরদ পাওয়ারের

From The India Gate: গ্রামবাংলার ভোট-যজ্ঞে কংগ্রেস-বিজেপি-টিএমসির টানাপোড়েন, কেরলে বামদের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বাম নেতার

মণিপুরে হিংসার মধ্যে মায়ানমার সীমান্ত নিয়ে আলোচনায় ভারত, আন্তঃদেশীয় অপরাধ রুখতে প্রতিশ্রুতি দুই দেশের