সংক্ষিপ্ত
- মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর দু'বছর পেরিয়ে গিয়েছে
- এখনও পর্যন্ত মন্ত্রিসভার কোনও রদবদল হয়নি
- গতকাল নাড্ডা ও অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি
- মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনাকে উসকে দিচ্ছে ওই বৈঠক
রদবদল ঘটবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়? তাহলে এবার মোদীর মন্ত্রিসভায় দেখা পাওয়া যাবে নতুন মুখের? এই সব প্রশ্নই এখন উঠছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে। আর সেই রদবদলের সম্ভাবনাকে উসকে দিয়েছে শুক্রবার ৭ লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত একটি বৈঠক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশাপাশি সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সভাপতি জে পি নাড্ডাও।
বিজেপি সূত্রে খবর, এই হেভিওয়েট বৈঠকের আগে গত এক মাসে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সাংসদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকও সেরেছেন তিনি। আর শুক্রবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাজের পর্যালোচনা হয়েছে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গও ওই বৈঠকে উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো। দৈনিক সংক্রমণের পরিমাণও কম রয়েছে। সূত্রের খবর, তাই এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার কাজের মূল্যায়ণ করছেন মোদী। তার জন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে ছোটো ছোটো দল করে দেখা করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রকাশ জাভড়েকর, হরদীপ সিংহ পুরীর মতো কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ৫ ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন। সূত্রের খবর, সেখানে নিজেদের কাজের রিপোর্ট তুলে ধরেছিলেন তাঁরা।
আসলে করোনা পরিস্থিতির জেরে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাই এখন আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করতে চান না প্রধানমন্ত্রী। মাঠে নেমে তৎপরতার সঙ্গে মন্ত্রীদের কাজ করতে বলছেন তিনি।
২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদী। তার এক বছরের মধ্যেই মন্ত্রিসভার রদবদল করেছিলেন। পাঁচ বছরের মধ্যে তিনবার মন্ত্রিসভার রদবদল হয়েছে। কিন্তু, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর করোনার জেরে আর মন্ত্রিসভার রদবদল সম্ভব হয়নি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে দেশের করোনা পরিস্থিতি যখন অনেকটাই স্বাভাবিক তখনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন মোদী। আর নাড্ডা ও অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর গতকালের বৈঠক রদবদলের জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে।
এছাড়া আগামী বছরেই উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাট, গোয়া, মণিপুর ও পঞ্জাবে ভোট হওয়ার কথা। তার আগে ওই রাজ্যগুলি থেকে নতুন কয়েকজনকে মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে বলে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে জল্পনা।