সংক্ষিপ্ত

লোকসভায় কংগ্রেস-কে একেবারে ধুয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী।

এদিন তিনি সিএএ বিরোধিতা নিয়ে একেবারে স্ট্রেট ব্যাটে খেললেন।

তাঁর বক্তব্যে উঠে এল নেহরু, জরুরী অবস্থা, শিখ দাঙ্গার কথা।

নেহরু-ও কি সাম্প্রদায়িক ছিলেন, প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি।

 

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-তে সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি  বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। সিএএ পাস হওয়ার পর থেকে এই প্রশ্নেই কেন্দ্রকে বিদ্দ করছে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার জওহরলাল নেহরু অস্ত্রে সেই অভিযোগ উড়িয়ে বল কংগ্রেসের কোর্টে পাঠিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  শুধু নেহেরু নয়, দেশভাগ ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থা এবং ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে এদিন একেবারে কংগ্রেস-কে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন তিনি।

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে স্পষ্টভাবে জানান, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন কোনও ভারতীয় নাগরিকের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না, সংখ্যালঘুদের স্বার্থও ক্ষুণ্ণ হবে না। তাঁর মতে দেশের প্রতিষ্ঠাতারাই এই আইন চেয়েছিলেন। নেহরুর মোদী অভিযোগ করেন, নেহরুর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়াররল বাসনার জন্য়ই ভারতকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছিল। আর তার জেরে  দেশভাগের পর হিন্দু, শিখ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অকল্পনীয় নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল।

একই সঙ্গে নেহরু নিজেই সাম্প্রদায়িক ছিলেন কিনা, সেই গুরুতর প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৫০ সালে নেহেরু-লিয়াকত আলী চুক্তিতে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের প্রতি যেন কোনও বৈষম্য না করা হয়। কংগ্রেসের কথা অনুযায়ী নেহেরুর অতিবড় ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি ও দারুণ দূরদর্শী হয়েও কেন সমগ্র পাক নাগরিকের কথা না বলে তিনি 'সংখ্যালঘু' কথাটি কেন ব্যবহার করেছিলেন, সেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন নরেন্দ্র মোদী।

এছাড়াও, নরেন্দ্র মোদীর দাবি, পণ্ডিত নেহেরু অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার লিখেছিলেন হিন্দু এবং মুসলিম শরণার্থীদের মধ্যে পার্থক্য করার কথা বলেছিলেন। এছাড়া, ১৯৫০ সালে সংসদেই নেহেরু বলেছিলেন নিঃসন্দেহে ভুক্তভোগী মানুষ যারা ভারতে বসতি স্থাপন করতে আসছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের দাবিদার এবং এই সম্পর্কে যদি আইন না থাকে তবে আইন সংশোধন করা উচিত। ১৯৫৩ সালে নেহেরু বলেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানে সরকার হিন্দুদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে নেহেরু কি সাম্প্রদায়িক ছিলেন - কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মোদী।

এছাড়াও তিনি ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গার প্রসঙ্গও তোলেন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বিরুদ্ধে সেই দাঙ্গায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ থাকার পরও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে কংগ্রেস। তাই তাদের মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা মানায় না বলেও মন্তব্য করেন মোদী।