সংক্ষিপ্ত
মোদী বলেন, এই দেশ দীর্ঘ দিন তুষ্টিকরণের রাজনীতি দেখেছে। তাঁর সরকার সেই রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। তাঁর সরকারের লক্ষ্য সরকারি প্রকল্পের ফল যাতে দেশের সব মানুষ পায় তার জন্যই কাজ করা।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর হওয়া বিতর্কের জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরসারি নিশানা করেন কংগ্রেসকে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা হইচই শুরু করে দেয়। কিন্তু তারমধ্যেও মোদী তাঁর তিন গত দুই দফার রাজত্বের সাফল্যগুলির কথা তুলে ধরেন। বিরোধীদের থামানোর চেষ্টা করেন স্পিকার ওম বিড়লা। কিন্তু তাতে প্রায় তিনি ব্যর্থ হন।
মোদী বলেন, এই দেশ দীর্ঘ দিন তুষ্টিকরণের রাজনীতি দেখেছে। তাঁর সরকার সেই রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। তাঁর সরকারের লক্ষ্য সরকারি প্রকল্পের ফল যাতে দেশের সব মানুষ পায় তার জন্যই কাজ করা। সব মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে সরকার। সামাজিক ন্যায়ের ব্যবস্থাও তাঁর সরকার করেছে বলে দাবি করেন মোদী।
১০ বছরে আমাদের সরকার সবার সঙ্গে সবার বিকাশ নীতি মেনে চলেছে। সকলের কল্যাণ করেছে তাঁর সরকার। জবাবি ভাষণে দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, তাঁর সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। আর এই সব কারণে তাঁর সরকারকে দেশের মানুষ তৃতীয়বারের জন্য ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও দাবি করেন মোদী। তিনি বলেন, দেশের মানুষ তাঁর সরকারের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেছে।
এদিন জবাবি ভাষণে পূর্বতন কংগ্রেসকে সরকারকে খোঁচা দেন। বলেন, ২০১৪ সালের আগে এই দেশের মানুষ হতাশ ছিল। কোনও কিছুতেই তাদের আস্থা ছিল না। তিনি আরও বলেন, ২-১৪ সালের আগে দুর্নীতির খবরই রোজ প্রকাশিত হত। এদিন কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মোদী শোলে ছবির কথাও তুলে ধরেন। বলেন, কংগ্রেস ১৩টি রাজ্যে শূন্য পেয়েছে। কিন্তু তারপরেও হিরো রয়েছে কংগ্রেসের। পাশাপাশি কংগ্রেস দলটির অবস্থাও খারাপ বলেও মন্তব্য করেন। তিনি কংগ্রেসকে বিশানা করে বলেন, আগে গ্যাস থেকে শুরু করে যে কোনও সরকারি প্রকল্পের জন্য নেতাদের ঘুষ দিতে হত। এখন আর তা দিতে হয় না বলেও দাবি। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সাল থেকে কংগ্রেস পরজীবী হয়ে গেছে। অন্য দলের ওপর ভর করেই সংসদে এসেছে। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস যে দলগুলির সঙ্গে জোট বাঁধে সেই দলগুলির ভোটেই পরবর্তীকালে ভাগ বসায়। তিনি আরও বলেন, গত ১০টা লোকসভাতে কংগ্রেস ২৫০র পেরোতে পারেনি। এটা কংগ্রেসের তৃতীয় বড় হার বলেও মনে করেন তিনি।
মোদী এদিন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাফল্যের কথা বললেও মণিপুর সমস্যা নিট, নেট-এর প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।