সংক্ষিপ্ত

সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্ব গতবারের মত এবারও রয়েছে নীতিন গডকরির হাতে। বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব পাচ্ছেন এস জয়শঙ্কর।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেও বড় চমক। দিল্লির লোককল্যাণ মার্গে নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে আয়োজন করা হয়েছিল প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানেই মন্ত্রীদের মন্ত্রক বিলি করা হয়েছে। তবে নতুন মন্ত্রক বিলিতে তেমন কোনও পরিবর্তন নেই। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকে কোনও রদবদল করা হয়নি।

সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্ব গতবারের মত এবারও রয়েছে নীতিন গডকরির হাতে। বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব পাচ্ছেন এস জয়শঙ্কর। অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে গুঞ্জন উঠলেও স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব রইল মোদীর ঘনিষ্ট অমিত শাহের হাতেই। অশ্বিনী বৈষ্ণর হাতে থাকছে রেল মন্ত্রক। সঙ্গে গতবারের মত এবারও থাকল তথ্য় ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্বও যদিও রেল মন্ত্রক নিয়ে বেশ কিছু ধরেই জল্পনা চলছিল। বিজেপি সূত্রের খবর ছিল রেল মন্ত্রক চেয়েছেন নীতিশ কুমার আর চন্দ্রবাবু নায়ডু। যদিও রেল বিজেপি নিজের হাতেই রাখল শেষ পর্যন্ত। গতবারের মত এবারও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব থাকছে রাজনাথ সিং-এর কাঁধে।  অর্থর সঙ্গে কর্পোরেট মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকছেন নির্মলা সীতারমণ। 

কৃষি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহানকে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে কিরেন রিজিজুকে। গতবারে প্রথম অর্ধে ছিলেন আইনমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাঁধে। তিনি রাজ্যসভার সদস্য। বিদ্যুৎ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব পাচ্ছেন বিজেপি আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। জিতনরাম মাঝিঁর হাতে এল ক্ষুদ্র, কুটির এবং মাঝারি শিল্পের মন্ত্রক। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন টিডিপি-র সাংসদ রামমোহন। শিক্ষামন্ত্রী হলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন ভূপেন্দ্র যাদব। বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন পীযূষ গোয়েল। জেডিএস নেতা এইচডি কুমারাস্বামী পেলেন ভারী শিল্পমন্ত্রকের দায়িত্ব। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া পেলেন টেলি যোগাযোগ মন্ত্রকের দায়িত্ব। আগে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী।

পেট্রোপণ্য ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন হরদীপ পুরী। সর্বানন্দ সোনোয়ালের দায়িত্বে জাহাজ, বন্দর এবং জলপথ মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন। স্মৃতি ইরানির নারীও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেল অন্নপূর্ণা দেবীর হাতে। জেডিইউ নেতা রাজীব রাজন সিংহ ওরফে লল্লন সিংহ পেলেন পঞ্চায়েতি রাজ, মৎস এবং পশুপালন মন্ত্রকের দায়িত্ব। চিরাগ পাসওয়ান হলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী। রামবিলাস পুত্র এই প্রথম মন্ত্রী হলেন।

তিনটি মন্ত্রকের দায়িত্ব রয়েছে বিজেপির সাংসদ প্রহ্লাদ জোশীর হাতে। সেগুলি হল ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য, জনবন্টন মন্ত্রক। ক্রীড়া মন্ত্রকের দায়িত্বে মনসুখ মাণ্ডব্য। পাশাপাশি দেখবেন শ্রম ও কর্মসংস্থার মন্ত্রক।জি কিসান রেড্ডির হাতে থাকছে কলয়া ও খনির মত দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব। আদিবাসী মন্ত্রকের মন্ত্রী জুয়েল ওরাওঁ। বস্ত্র মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ ও সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের দায়িত্বে এলেন বীরেন্দ্র কুমার। রবিরঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং পেলে পঞ্চায়েত রাজ ও পশুপালন মন্ত্রকের দায়িত্ব। গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত পেলেন সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রক। মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ সিআর পাটিলের দায়িত্বে জলশক্তি মন্ত্রক।

বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ও উত্তরপূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী।

 

 

সবিস্তারে আসছে…