সংক্ষিপ্ত

  • হায়দরাবাদে উদ্ধার হয় আরও এক মহিলার দগ্ধ দেহ
  • এ ক্ষেত্রে আত্মহত্যার তত্ত্বই উঠে আসছে
  • সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই সিদ্ধান্ত পুলিশের

খুন নয়, তেলেঙ্গানার শামসবাদে যে দ্বিতীয় মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল, তিনি সম্ভবত আত্মহত্যা করেছিলেন। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এমনই দাবি করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানার শামসবাদে এক তরুণী পশু চিকিৎসকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরে জানা যায় গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তেলেঙ্গানা জুড়ে। ওই নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই আরো এক মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল কাছাকাছি এলাকা থেকে। দু'টি ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে পুলিশ। তদন্তে পলিশের অনুমান, দ্বিতীয় মহিলা আত্মীঘাতী হয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন- ... মেয়ের মতোই পুড়িয়ে মারা হোক ধর্ষকদের, দাবি হায়দরাবাদের নির্যাতিতার মায়ের

পুলিশ জানিয়েছে, দ্বিতীয় যে মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়, সিসিটিভি ফুটেজে তাঁকে একাই জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে। তার হাতে বোতলের মধ্যে তরল কিছু জিনিসও ছিল। পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যার জন্যই সম্ভবত কেরোসিন জাতীয় কিছু নিয়েছিলেন ওই মহিলা। স্থানীয়রাও পুলিশকে জানিয়েছেন, এলাকার একটি মন্দিরে বসে ওই মহিলাকে কাঁদতে দেখেছিলেন তাঁরা। এই সমস্ত তথ্যপ্রমাণ থেকেই পুলিশের অনুমান, সম্ভবত আত্মহত্যার জন্য নিজেই গায়ে আগুন ধরিয়েছিলেন মহিলা।