সংক্ষিপ্ত

  • উত্তরপ্রদেশ জুড়ে বিক্ষোভকারী- পুলিশ সংঘর্ষ
  • তার মধ্যেই ব্যতিক্রমী ছবি এটাওয়ায়
  • বিক্ষোভকারীদের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বোঝালেন পুলিশ অফিসার
  • মুহূর্তে ইন্টারনেটে ভাইরাল হল ভিডিও

গোটা উত্তরপ্রদেশেই বিক্ষোভকারীদের  বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। শুধুমাত্র শুক্রবারই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয় বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই অবস্থায় সম্পূর্ণ অন্য রূপে আবির্ভূত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেন উত্তরপ্রদেশের এক তরুণ পুলিশ অফিসার। ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ না করে উল্টে তাঁদের নাগরিকত্ব আইন ঠিক কী, তা বোঝাচ্ছেন ওই পুলিশকর্তা।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ায়। শুক্রবার সকালে এটাওয়ায় নমাজ পাঠের আগে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে স্থানীয় সংখ্যালঘুরা একটি অহিংস পদযাত্রার আয়োজন করেছিলেন। তখনই এসএসপি পদমর্যাদার অফিসার সন্তোষ মিশ্র দুই মুসলিম কিশোরকে বোঝান যে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ওই কিশোরের কাঁধে হাত রেখে পুলিশকর্তা বলেন, 'আমরা সবাই এখানেই থাকব। আজকেও তুমি এখানেই আছো, কালকেও এখানেই থাকবে।' ওই কিশোরকে তিনি আরও বোঝান যে এমন কোনও আইন তৈরি হয়নি যাতে দেশের নাগরিকদের বিতাড়িত করা হবে।

আরও পড়ুন- গুজবে কান দেবেন না, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জেনে নিন কিছু সত্যি তথ্য

আরও পড়ুন- হুরিয়তের ভাষায় কথা বলছেন মুখ্য়মন্ত্রী, সিএএ নিয়ে দিদিকে পাল্টা দিলীপে

এর পরেই আরও এক কিশোরকে তার নাম জিজ্ঞেস করেন ওই পুলিশকর্তা। তাহির নামে ওই কিশোরকে মজা করে তিনি বলেন, 'কে বলেছে এখান থেকে চলে যেতে হবে? তুমি কি স্কুলে যাও? স্কুলে যেতেই হবে। স্কুল থেকে তুমি ছুটি পাবে না। কে বলেছে যে এবার পড়াশোনা সব বন্ধ হয়ে যাবে? স্কুল বন্ধ হবে না। তোমরা এখানেই থাকবে, এখানেই পড়াশোনা করবে।'

 

 

এর পরে ওই কিশোরদের তিনি বুঝিয়ে বলেন, 'বড় হয়ে তাদেরও পুলিশ হতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে।' নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তিনি বলেন, 'কেউ গুজব ছড়িয়ে যদি বলে যে এই আইনের সাহায্যে কাউকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে, বিশ্বাস করবে না। এগুলো পুরো মিথ্যে। এমন কোনও আইনই আসেনি। এই আইনের একটাই উদ্দেশ্য, যাঁরা ভারতের নাগরিকই নন, এই আইন তাঁদের জন্য। যাঁরা বরাবর ভারতের নাগরিক, যাঁরা এটাওয়ার বাসিন্দা, তাঁদের সঙ্গে এই আইনের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁরা এখানেই ছিলেন এখানেই থাকবেন।' 

সবশেষে ওই কিশোরের পিঠ চাপড়ে দিয়ে ওই পুলিশ অফিসার বলেন, 'একদম ঘাবড়াবে না। আর তোমার তো ঘাবড়ানোর কোনও কারণও নেই। তোমার নাম আমার মনে থাকবে।'