সংক্ষিপ্ত
জালিয়ানওয়ালাবাগের আলো বিতর্কে সামনে এল ২০১০ সালের একটি পুরনো তথ্য। যেখানে বলা হয়েছে এই সময় লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের সূচনা হয়েছিল।
জালিয়ানওয়ালাবাগের স্মৃতিসৌধ সংস্কার কংগ্রেস ভালোভাবে নেয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে কংগ্রেসের একাধিক নেতৃত্ব মুখ খুলেছেন।কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি ও মোদী সরকারের। কংগ্রেসের দাবি জালিয়ানাওয়ালাবাগ সংস্কারের ফলে ইতিহাস মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেসের নেতারা জালিয়ানওয়ালাবাগ নিয়ে একটি বিরুপ প্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেনেছে 'মোদী ভরসা' নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট।
'মোদী ভরসা'র টুইটার পেজে লেখা হয়েছে, জালিয়ানওয়ালাবাগের সংস্কার নিয়ে একটি নতুন প্রচার শুরু হয়েছে। কিন্তু সত্যা ঘটনা অন্য। সেই সত্যঘটনা হলে জালিয়ানওয়ালাবাগে আগে থেকেই লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেম ছিল। এটি ২০১০ সালে তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী একে অ্যান্টনি উদ্ধোধন করেছিলেন। কিন্তু কিছু দিন চলার পরেই তা খারাপ হয়ে যায়। তারপর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সেটি। বর্তমানে জালিয়ানয়ওয়ালাবাগের সংস্কারের সময় সেটিও সংস্কার করে পুনরায় চালু করা হয়েছে।
জালিয়ানওয়ালাবাগের সংস্কার নিয়ে বিতর্ক, নিজেকে শহিদপুত্র বলে বিজেপিকে তোপ রাহুল গান্ধীর
জালিয়ানওয়ালাবাগে নতুন আলোকসজ্জা নিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেসে নেতা গৌরব গগৈ। রাহুল বলেছিলেন এই আলোকসজ্জা সুন্দর। কিন্তু এটি মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করার জন্য যথেষ্ট। অন্যদিকে গৌরব গগৈয়ের কথায় জালিয়ানওয়ালাবাগে ডিস্কো আলোকসজ্জা ঐতিহ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না।
করোনার নতুন রূপ আরও ভয়াবহ বলেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের, C.1.2 চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে টিকাকেও
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার জালিয়ানওয়ালাবাদের সংস্কারের পর তা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই স্মৃতি সৌধ নির্মিত জাদুঘর গ্যালারিও উদ্বোধন করেছিলেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন জালিয়ানওয়ালাবাগ এখনও অনেক মানুষকে দেশের জন্য ত্যাগ করতে শেখায়।
জালিয়ানওয়ালাবাগের চারটি জাদুঘক গ্যালারি তৈরি করা হয়েছে। যেসব ভবনগুলি কম ব্যবহার হত সেগুলি সংস্কার করা হয়েছে। এই গ্যালারিগুলিতে তৎকালীন পঞ্জাবের ইতিহাস স্থান পেয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি বর্তমানে জালিয়ানওয়ালাবাদের মেগা আকর্ষণ লাইট অ্যান্ড সাউন্ড। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিলের ঘটনার ছবি দর্শকদের সামনে তুলে ধরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যে কূপ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেই কূপটিও সংস্কার করে কাচ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।