সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হবে পপুলেশন আর্মিকে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেতনতা প্রচার চালাবে তারা।

খুব দ্রুত কাজ শুরু করবে পপুলেশন আর্মি (population Army)। রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হবে এই আর্মিকে। সেই সব এলাকায় কনট্রাসেপটিভ পিলস বা গর্ভনিরোধক বড়ি বিলি করবে তারা। পাশাপাশি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেতনতা প্রচার চালাবে তারা। রাজ্য বিধানসভায় এমনই জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেই মূলত কাজ করবে এই পুপলেশন আর্মি। তাই প্রাথমিকভাবে সচেতনতা প্রচার করা হবে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায়। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত জায়গায় এই কর্মসূচি শুরু করা হবে। কারণ অসমে এই ধরণের ব্যবস্থা না নিলে জনবিস্ফোরণ ঘটতে পারে। পশ্চিম ও মধ্য অসমে বিশেষ করে নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পপুলেশন আর্মিতে যোগ দিয়েছে প্রায় হাজার জন যুবক। এরা সচেতনতা প্রচার করবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর ও পরিবার পরিকল্পনার ওপর। পাশাপাশি, বিভিন্ন মুসলিম পরিবারে বিতরণ করা হবে গর্ভনিরোধক বড়ি। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন এই কাজে লাগানো হবে রাজ্যে আশা কর্মীদেরও। এতে কাজ দ্রুত হবে। 

অসম সরকার সূত্রের খবর, হিন্দুদের মধ্যে যেখানে জনসংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ, সেখানে মুসলিমদের মধ্যে বেড়েছে ২৯ শতাংশ। এই হিসেব ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে করা হয়েছে। ফলে রাজ্য সরকারের মতে হিন্দু কম জনসংখ্যা নিয়ে সুখে রয়েছে, সেখানে মুসলিমদের মধ্যে দারিদ্রতা বাড়ছে। শিক্ষার হার কম। জীবন ধারণের মান অত্যন্ত অনুন্নত। 

এদিকে এর আগেও মুসলিমদের জনসংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য সাধ্বী প্রাচী। তাঁর দাবি ছিল দেশের মুসলমানরা যত খুশি বিয়ে করুন, একাধিক স্ত্রী থাকুক তাঁদের। কিন্তু দুটির বেশি সন্তান যেন তাঁরা নিতে না পারেন। এরকমই আইন দেশে প্রয়োগ করা উচিত বলে মত তাঁর। তিনি বলেন নির্দিষ্ট এক সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যই দেশের জনসংখ্যা এই হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নিয়ম দ্রুত বন্ধ করা উচিত। সংসদে আইন করে এই প্রথা তুলে দেওয়া উচিত সরকারের। কোনও ভাবেই কোনও দম্পতির, বিশেষ করে মুসলিমদের দুটির বেশি সন্তান যেন না হয়।  

তাঁর আরও দাবি যেসব ব্যক্তির দুটির বেশি সন্তান রয়েছে, তাঁদের ভোটাধিকার তুলে নেওয়া উচিত। তবেই দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এরই সাথে লাভ জিহাদ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য হিন্দু পরিবারের মেয়েদের রক্ষা করার জন্য কঠোর আইন আনতে হবে, যাতে কোনওভাবেই অন্য সম্প্রদায়ে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে না হয়।