সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলবার সংসদে করোনা নিয়ে বক্তব্য রাখবেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। বেশ কয়েকটি প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে দেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হবে বিরোধী দলগুলিকে।

করোনা পরিস্থিতি সামলাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র, স্পষ্টভাবে জানানোর দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। পরপর মুলতুবি হতে থাকে অধিবেশন। বিরোধীদের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সব তথ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মতো মঙ্গলবার সংসদে করোনা নিয়ে বক্তব্য রাখবেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। 

সন্ধে ছটায় এই বক্তব্য রাখবেন রাজেশ ভূষণ। বেশ কয়েকটি প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে দেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হবে বিরোধী দলগুলিকে। কীভাবে সরকার কাজ করছে, ভ্যাকসিনেশনের গতি, আক্রান্তের হার সব মিলিয়ে তথ্য দেওয়া হবে। সোমবার অধিবেশন শুরুর দিনই সংসদের বাইরে পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার বিকেলের কিছুটা সময় চেয়েছিলেন মোদী। সেই মতো মঙ্গলবার সন্ধে ছটার সময় ধার্য করা হয়। তখনই করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হবে।  

উল্লেখ্য, অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই উত্তাল হতে পারে সংসদ, সে সম্পর্কে জানা ছিল কেন্দ্রের। তাই আগে থেকেই হয়ত আবেদন জানিয়ে রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পার্লামেন্ট হাউস কমপ্লেক্সে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী আর্জি জানিয়ে ছিলেন যে কোনও বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে পারেন বিরোধীরা, কিন্তু তার পরিবর্তে কেন্দ্রকে কথা বলার সুযোগ যেন অন্তত করে দেওয়া হয়। 

এদিন মোদী বলেন প্রত্যেক সাংসদের কাছে তাঁর আর্জি কেন্দ্র সরকারকে সবরকম কঠিন থেকে কঠিনতম প্রশ্ন করুন, কিন্তু তার উত্তর শোনার মত ধৈর্য রাখুন। সব সাংসদদের কাছে এটাই দাবি নিয়ম মেনে ও গণতন্ত্রের সম্মান রক্ষা করে প্রশ্ন করুন। এমন পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, যাতে সংসদের পরিবেশ নষ্ট হয়। অধিবেশনে সুশৃঙ্খল ভাবে প্রশ্ন করার রীতি মেনে চলতে হবে প্রত্যেককে।

পরিস্থিতি যে উত্তপ্ত হবেই, তা জানা ছিল। সেই নিয়ম মেনেই সংসদে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই বিরোধীদের হট্টগোলে সোমবার দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হল অধিবেশন। যে বিষয়টি সবচেয়ে নজরে পড়ল, তা হল কথা বলার সুযোগই পেলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সংসদের নতুন সাংসদদের সঙ্গে সবার পরিচয় করাতে শুরু করেন। এই সময়েই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ।