সংক্ষিপ্ত

আকাশ গৌতমের সঙ্গে প্রায় ৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল রীতিকার। কিন্তু গত চার বছর ধরে তারা আলাদা থাকছিল।

বহুতলের ব্যালকনি থেকে তাঁর পড়ে যাওয়ার দৃষ্য ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। যা দেখে প্রায় গোটা দেশের মানুষের বুক কেঁপে উঠেছিল। তিনি ছিলেন ফ্যাশান ব্লগার রীতিকা সিং।  তাঁকে নির্মমভাবে হত্যার দায়ে ইতিমধ্যেই তাঁর স্বানী আকাশ গৌতমসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রীতিকা উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবদের বাসিন্দা ছিলেন। তবে কাজের সূত্রে আগ্রায় থাকতেন তিনি। সেখানেই ওম প্যাটিনাম অ্যাপাটমেন্টের ৪০৪ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল রীতিকার। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। রীতিকার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।  

ময়নাতদন্তের রিপোর্টঃ
১. পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে রীতিকাশ শরীরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন স্পষ্ট। 
২. শরীরের একাধিক হাড় ভেঙে গেছে।
৩. শরীরের কয়েকটি স্থানে কাটা ও পোড়া চিহ্ন রয়েছে। 
৪. ফুসফসেও জমে রয়েছে রক্ত। 

রীতিকার পোস্টমর্টেমের সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা ও মা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন রীতিকাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। খুনের আগে তার ওপর শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছিল। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতেই হাত-পা বাধা অবস্থায় বহুতল থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রীতিকার স্বামী আকাশ গৌতমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। আকাশের সঙ্গে আরও দুজনকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা এখনও পলাতক। 

আকাশ গৌতমের সঙ্গে প্রায় ৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল রীতিকার। কিন্তু গত চার বছর ধরে তারা আলাদা থাকছিল। ফেসবুক ফ্রেন্ড বিপুল তাদের জীবনে প্রবেশ করেছিল। তদন্তকারীদের অনুমান বিপুলকে মেনে নিতে পারেনি আকাশ। আর সেই কারণে তাদের মধ্যে অশান্তি হয়। 

পুলিশের অনুমান আকাশ গৌতম রীতিকে হত্যা করেছে। পুলিশের টানা জেরায় ভেঙে পড়ে তেমনই জানিয়েছে আকাশ। বলেছে, পুরো প্রস্তুতি নিয়েই আকাশ রীতিকার ফ্ল্যাটে এসেছিল। যাতে কেউ সন্দেহ না করে তারজন্য দুই জন মহিলাকেও সঙ্গে এনেছিল। মহিলা তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য ভুল ফ্ল্যাটের নম্বর লিখে প্রবেশ করিছিল। রীতিকাতে ব্যালকনি থেকে ফেলে হত্যা করার পর তাঁকে যাতে কেউ সন্দেহ না করে তার সমস্ত প্রমাণ মুছে ফেলেছিল। প্রায় ২০ মিনিট তারা ফ্ল্যাটে ছিল। রীতিকার বাবা মায়ের অভিযোগ- রীতিকাকে হাত-পা বেঁধে দীর্ঘক্ষণ ফ্ল্যাটের বাথরুমে আটকে রাখা হয়েছিল তারপর ব্যালকনি থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।