সংক্ষিপ্ত
এই পদযাত্রায় তাঁর মূল লক্ষ্য হবে সর্বাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলা, তাদের সুবিধা অসুবিধা বোঝা ও তাদের জন্য হাঁটা। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিহারের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
প্রথমেই ঘোষণা করে দিয়েছেন কোনও রাজনৈতিক দল গঠন করার পক্ষপাতী নন তিনি। তবে জনহিতকর সরকারের সংজ্ঞা বুঝতে চান। এই বার্তা দিয়েই নয়া রাজনৈতিক খেলায় নেমেছেন রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর দাবি সরকার গড়তে নয়, মানুষের মন বুঝতে চান তিনি। সাধারণ মানুষ কি চান, সেই বিষয়ে আগে জানতে চান প্রশান্ত কিশোর। সেই লক্ষ্যেই বিহারের চম্পারন থেকে তিন হাজার কিলো মিটার পদযাত্রা করবেন প্রশান্ত কিশোর।
এই ঘোষণার পরেই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ পাঁচই মে একটি টুইট করেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি লেখেন "go to the Real Masters".... "to better understand the issues and path to-Peoples Good Governance"। প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন তিনি যা করবেন তা বিহারের মানুষের ভালোর জন্য। বিহারের প্রতি তার সব কাজ উৎসর্গকৃত হবে। দোসরা অক্টোবর চম্পারন থেকে তিন হাজার কিমি পদযাত্রা করবেন বলে জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
এই পদযাত্রায় তাঁর মূল লক্ষ্য হবে সর্বাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলা, তাদের সুবিধা অসুবিধা বোঝা ও তাদের জন্য হাঁটা। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিহারের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। যাতে জন সুরজ বা good governance সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা তিনি তৈরি করতে পারেন। তিন হাজার কিমি পদযাত্রা তিনি শুরু করবেন পশ্চিম চম্পারনের গান্ধী আশ্রম থেকে।
কংগ্রেস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, নির্বাচনী কৌশলবিদ বলেন, "কংগ্রেসকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কীভাবে আরও কাজ করতে চায়, আমাকে নয়। তারা যে সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছিল এবং আমিও তাই নিয়েছিলাম। কংগ্রেসের কোনও প্রশান্ত কিশোরের প্রয়োজন নেই, পার্টিতে এর চেয়েও বেশি সক্ষম লোক রয়েছে। তারা জানে তাদের কী করতে হবে।"
দোসরা মে প্রশান্ত কিশোরের টুইট ঘিরে ছড়িয়ে ছিল জল্পনা। মনে করা হচ্ছিল এবার নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন তিনি। টুইটে পিকে লিখেছিলেন 'গণতন্ত্রের তাৎপর্যের অংশ হয়ে ওঠার পথে আমার যে অণ্বেষণ, তা ১০ বছর ধরে চলল। তবে এবার সরাসরি প্রকৃত ইশ্বর অর্থাৎ জনতা জনার্দনের দরবারে যাওয়ার সময় এসেছে। গণতন্ত্রকে আরও কাছ থেকে বোঝার সময় এসেছে।' সরাসরি কোও রাজনৈতিক দলের ঘোষণা না করলে ওই টুইটে একটি নাম জানিয়েছেন পিকে। জন সূরজ, যার বাংলা অর্থ জনতার সূর্য। পিকে জন সূরজ বলতে বুঝিয়েছেন, পিপলস গুড গর্ভ্যান্স অর্থাৎ মানুষের সুশাসন। শেষে হিন্দি সংযোজন আরও ৩ শব্দের। তা হল- 'শুরুয়াৎ বিহার সে।' অর্থাৎ বিহার থেকেই তার শুভসূচনা হতে চলেছে।