সংক্ষিপ্ত

শীঘ্রই নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। নিজের রাজ্য বিহার থেকেই রাজনৈতিক দলের সূচনা করতে পারেন বলে খবর।  

শীঘ্রই নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। নিজের রাজ্য বিহার থেকেই রাজনৈতিক দলের সূচনা করতে পারেন বলে খবর। এতদিন যাবৎ অন্য রাজনৈতিক দলের হাল ধরেছেন ভোটকুশলি পিকে, আর এবার নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন তিনি। সোমবার সকালে টুইট করে যার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। ' সরাসরি কোও রাজনৈতিক দলের ঘোষণা না করলে ওই টুইটে একটি নাম জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।

পিকে লিখেছেন, 'গণতন্ত্রের তাৎপর্যের অংশ হয়ে ওঠার পথে আমার যে অণ্বেষণ, তা ১০ বছর ধরে চলল। তবে এবার সরাসরি প্রকৃত ইশ্বর অর্থাৎ জনতা জনার্দনের দরবারে যাওয়ার সময় এসেছে। গণতন্ত্রকে আরও কাছ থেকে বোঝার সময় এসেছে।' সরাসরি কোও রাজনৈতিক দলের ঘোষণা না করলে ওই টুইটে একটি নাম জানিয়েছেন পিকে। জন সূরজ, যার বাংলা অর্থ জনতার সূর্য। পিকে জন সূরজ বলতে বুঝিয়েছেন, পিপলস গুড গর্ভ্যান্স অর্থাৎ মানুষের সুশাসন।শেষে হিন্দি সংযোজন আরও ৩ শব্দের। তা হল- 'শুরুয়াৎ বিহার সে।' অর্থাৎ বিহার থেকেই তার শুভসূচনা হতে চলেছে। 

আরও পড়ুন, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার মত্ত তূণমূল নেতা, থানায় গিয়ে দিলেন টেনে ঘুম

সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে সেই সম্ভাবনা খারিজ হয়ে যায়। এনআইসিসি-র একটি সূত্র জানিয়েছিল, কংগ্রেসে যোগদানের শর্ত হিসেবে পিকে-কে বলা হয়েছিল তৃণমূল এবং টিআরএস-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে। পিকের পাল্টা শর্ত ছিল, আইপ্যাক এবং তিনি পৃথকসত্তা ,ত াই সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রশ্নই ওঠে না। এরই মধ্যে গত শনিবার একটি সাক্ষাতকারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় দাবি করেন, 'ভোটকুশলী হিসেব তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন পিকে। মমতার কথায়, দলের ভিতরে পিকে-র ভূমিকা নিয়ে মতপার্থক্য ছিল। কিন্তু এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, তিনি ভোট কুশলি হিসেবেই দলে কাজ করবেন।'

 আরও পড়ুন, শুভেন্দু বসায় ভেঙে পড়েছিল খাট, ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার পরিবারকে নতুন করে কিনে দিল তৃণমূল

 আরও পড়ুন, গত ১ বছরে তৃণমূলে 'গঙ্গার জল, ড্রেনের জল মিলেমিশে একাকার', বিস্ফোরক দেবাংশু, পোস্ট ডিলিটেও বিতর্ক

আর তারপর পরেই সোমবারে পিকে-র এই টুইট ঘিরে ছড়াল জল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে , নিজে রাজনৈতিক দল তৈরি করলে তিনি কীভাবে অন্য দলের হয়ে ভোট কুশলীর কাজ করবেন। সেক্ষেত্রে পিকে-র দাবি, আইপ্যাক এবং তিনি যে পৃথক সত্তা, তা মান্যতা পাবে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, পিকে-কে বাদ দিয়ে আইপ্যাকের অস্তিত্ব কল্পনা করা কঠিন। এই পরিস্থিতিতে নতুন দল তৈরি করে কীভাবে তিনি অন্য দলের ভোট কুশলী হিসেবে কাজ করবেন, এনিয়ে জানার অপেক্ষায় গোটা দেশ।