বীরেন সিং মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও, বিজেপি এখন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।

নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে ঐকমত তৈরি না হলে, সংসদের অধিবেশনের পর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। এদিকে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিধায়কদের দিল্লীতে ডেকে পাঠাতে পারে বলে জানা গেছে। 

বীরেনের পদত্যাগের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি এবং পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবিতে তারা অনড় রয়েছে বলে কুকি সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে। বীরেন সিং অনিচ্ছা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে বিজেপি এখন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে যথেষ্ট দ্বিধাগ্রস্ত। 

গতকাল বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে বৈঠক হলেও পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে কোনও ঐকমট তৈরি হয়নি বলে খবর। আবারও দলীয় বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে বলে জানা গেছে। বীরেনের উত্তরসূরী নিয়ে বিধায়কদের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে। স্পিকার টি এস সিং-এর সমর্থকরা একদিকে এবং বীরেন সিং-এর অনুগামীরা অন্যদিকে অবস্থান নিয়েছেন। 

এদিকে টি বিশ্বজিৎ সিং বীরেনের শিবিরের অন্যতম নেতা। তবে দলের রাজ্য সভাপতি শারদা দেবীর অবস্থানও পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। জোটসঙ্গী এবং দলের ১০ জন কুকি বিধায়কের সমর্থনও নিশ্চিত করতে হবে। 

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র আলোচনার জন্য মণিপুরেী আছেন আপাতত। যদি ঐকমতে আসা না যায়, তাহলে তিন মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে। এই সময়ের মধ্যে কুকি সংগঠনগুলির সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা চালাবে কেন্দ্র। তবে বীরেনের পদত্যাগের পরেও সমস্যার সমাধান হবে না এবং পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবিতে তারা অনড় রয়েছে বলে কুকি সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।