সংক্ষিপ্ত
ময়াদিল্লির রাজপথ-এ বসেছে শিল্প মেলা হুনার হাট।
বুধবার আচমকা সেখানে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আয়েশ করে খেলেন 'লিট্টি-চোখা' ও 'কুলহাড় চা'।
সঙ্গী ছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পরই সকলকে চমকে দিয়ে নয়াদিল্লি-র 'রাজপথ'-এ চলে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে 'হুনার হাট' নামে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু দপ্তরের আয়োজনে এক শিল্পীদের মেলা হচ্ছে। সেখানেই আয়েশ করে 'লিট্টি-চোখা' ও 'কুলহাড় চা' খেলেন।
সূত্রের খবর এদিন প্রধানমন্ত্রী যে 'হুনার হাট'-এ আসতে পারেন সেই সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না দপ্তরের পদস্থ কর্তাদের কাছেও। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি-কে নিয়ে রাজপথ-এ চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিভিন্ন শিল্পীদের কাজ ঘুরে দেখার পর প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী আসেন মেলার 'বাবর্চিখানা' বিভাগে।
সেখানেই একটি দোকান থেকে ১২০টাকা দিয়ে 'লিট্টি-চোখা' কিনে খান প্রদানমন্ত্রী। প্রধামথ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশে এই খাদ্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। তারপর ৪০ টাকা দিয়ে 'কুলহাড়'-এ পরিবেশন করা দুকাপ চা কিনে খান নরেন্দ্র মোদী ও মুখতার আব্বাস নকভি।
ভারতের ঐতিহ্যশালী শিল্পগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যেই এই 'হুনার হাট'-এর আয়োজন করা হয়েছে। ২৩ তারিখ পর্যন্ত এই শিল্পমেলা চলবে। 'কৌশল কো কাম' এইবারের মেলার বিষয়বস্তু। সারা ভারতের দক্ষ কারিগর, শিল্পী এবং রন্ধনশিল্পীরা এই হাটে অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি হলেন মহিলা। বিভিন্ন রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ দিতে তৈরি করা হয়েছে 'বাবর্চিখানা'। আর হস্তশিল্পের কারিগরদের কাজ প্রদর্শনের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা 'হাট'।