সংক্ষিপ্ত
ভারতে ধুমধাম করে পালিত হল স্বর্ণীম বিজয় দিবস। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে মশাল জ্বালান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
১৯৭১ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে যা ভারতীয়দের কাছে চিহ্নিত তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। জয়ের দিনটিকে ওই দেশের মানুষ বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন। এদিন ভারতে ধুমধাম করে পালিত হল স্বর্ণীম বিজয় দিবস। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে মশাল জ্বালান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেন ফুলের শ্রদ্ধার্ঘ।
এদিন জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ৫০ তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিকে,
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ন্যাশনাল প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হচ্ছে বিজয় দিবস(Bijoy Dibosh)। এদিন ন্যাশনাল প্যারেড গ্রাউন্ডে (National Parade Ground) প্যারেড পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ।
এদিনের অনুষ্ঠানের সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিজয় দিবসের ৫০তম বর্ষে (Bangladesh 50th Victory Day) উপলক্ষ্যে আড়াই দিনের ঢাকা সফরে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind)। সফরের প্রথম দিন অর্থাৎ বুধবারই তিনি দেখা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Bangladesh PM Sheikh Hasina) সঙ্গে।
১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর প্রায় ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য ভারতীয় সেনা বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই যুদ্ধ জয়ের কয়েক দিন পরে পূর্ববঙ্গ নাম বদল করে রাখা হয় বাংলাদেশ। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত (Indian-Bangladesh Border) সেনাদের মিত্রতা অটুট রাখতে ইন্দো-বাংলা চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে পালিত হল দুই দেশের যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসঅফ (BSF) এবং বিজিবির (BGB) যৌথ উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠান করা হয়।
দেশ ভাগের পর থেকেই দুই বাংলার সম্পর্ক বরাবরই মধুর। সে ভাষা হোক বা শিক্ষা, সংস্কৃতি, বা খাওয়া দাওয়া! সব দিক থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক খুবই ভালো। রাজনৈতিক, কুটনৈতিক দিকেও দুই দেশের সম্পর্ক ভালো। চলতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। সেই বর্ষপুর্তিকে সামনে রেখে ও ভারত-বাংলা দুই দেশের মৈত্রী অটুট রাখতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৯৭১ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে যা ভারতীয়দের কাছে চিহ্নিত তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। জয়ের দিনটিকে ওই দেশের মানুষ বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন। চলতি বছর বিজয় দিবসের ৫০ তম বার্ষিকী হিসেবে একগুচ্ছ বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতে অবদানের জন্য এই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। দুই দেশই যৌথ কর্মসূচি নিয়েছে।