সংক্ষিপ্ত
- কেরলের দ্বিতীয় বার সরকার গঠন করল বামেরা
- মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পিনারাই বিজয়ন
- মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের প্রাধান্য বেশি
- মন্ত্রী হয়েছেন বিজয়নের জামাতাও
দ্বিতীয়বারে জন্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়ন। দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার শপথ বাক্যপাঠ করান রাজ্যপাল অরিফ মহম্মদ খান। করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণকারেণ মাত্র ৫০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি নিয়েই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়।
দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরলেও বেশ কয়েকটি বিষয় পিনারাই বিজয়নের পথ নিষ্কণ্টক ছিল না। কারণ করোনা মহামারির বিরুদ্ধে গত একবছর ধরে যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে কেরল তাতে তিনদিন আগে পর্যন্ত প্রধান সেনাপতি ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কেকে শৈলজা। যিনি কেরলের বাসিন্দাদের কাছে টিচার আম্মা নামে পরিচিত। অত্যন্ত সফল সেই স্বাস্থ্য মন্ত্রী। দেশের সঙ্গে বিদেশেই তাঁর কাজ প্রশংসা পেয়েছিল। বিজয়নের সমতুল্য হয়ে উঠেছিল তাঁর জনপ্রিতায়। ৬২ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। আজ তাঁকে বাদ দিয়েই গঠন করা হয়েছে পিনারাইয়ের নতুন মন্ত্রিসভা। যেখানে সব সদস্যই নতুন। কেরল সিপিএম-এর দাবি একমাত্র পিনারাই বিজয়ন ছাড়া আর কোনও পুরনো মুখই নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পায়নি।
বিতর্ক রয়েছে অন্যত্রও। নবগঠিত মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন পিনারাই বিজয়নের জামাতা পিএ মহম্মদ রিয়াস। তিনি কেরলের নবনির্বাচিত বিধায়ক। বাইপোর থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। এবারই প্রথম কেরল বিধানসভায় পা রেখেই মন্ত্রী হলেন তিনি। তাঁর হাতে রয়েছে পিডাব্লুডি ও পর্যটনের মত গুরুত্বপূর্ণ দফরত। রিয়াস বলেছেন মন্ত্রিত্ব একটি বড় দায়িত্ব। ব্যক্তিগত আক্রমণের জবাব তিনি তাঁর কাজের মধ্যে দিয়েই দেবেন বলেও জানিয়েছেন। রিয়াস দির্ঘ দিন বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি ডিওয়াই এফআইএর প্রেসিডেন্টও।
৭৬ বছরের পিনারাই বিজয়ন দীর্ঘ দিন ধরেই মাক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যছিলেন। ১৯৬৪ সালে সিপিএম-এর সদস্য হন। কেরল স্টুডেন্ট ফেডারেশন কান্নুরের জেলা সম্পাদকও হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেফতার হন তিনি। ২০০২ সালে পলিট ব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হন পিনারাই বিজয়ন। তবে এবার কেরল নির্বাচন ছিল তাঁর ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদেরর কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জ। এক দিনে করোনাভাইরাসের মহামারি অন্যদিকে দ্বিতীয় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্য। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে দুটি চ্যালেঞ্জই গ্রহণ করেছিল বিজয়ন সরকার।