সংক্ষিপ্ত

  • জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদীর মুখে লাদাখে ছোট্ট গাছের কথা
  • পাহাড়ের কোলে জন্মানো গাছটির স্থানীয় নাম সোলো
  • পার্বত্য এলাকায় মানুষকে বাঁচাতে সাহায্য় করে এই গাছ
  • প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই গাছই বদলে দিতে পারে লাদাখের অর্থনীতি

৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের মানুষকে কী কী সুবিধা দেবে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে কাশ্মীরের মতোই পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা হওয়ায়, লাদাখের মানুষ কীভাবে উপকৃত হবেন, তাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। কিন্তু এসবের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এলে লাদাখের একটি ছোট্ট গাছের নাম। নরেন্দ্র মোদীর দাবি অনুযায়ী, এই একটি গাছই লাদাখের বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফোটানোর ক্ষমতা রাখে, বদলে দিতে পারে সেখানকার অর্থনীতি। 

প্রধানমন্ত্রী যে গাছটির কথা বলেছেন, স্থানীয়ভাবে তাকে 'সোলো' নামেই ডাকেন লাদাখের বাসিন্দারা। পোশাকি নাম রোহডিওলা। বিজ্ঞানীরাও বলছেন, রামায়ণে লক্ষণের প্রাণ বাঁচানো 'সঞ্জীবনী'-র মতোই গুণাগুণ রয়েছে হিমালয়ের কোলে জন্মানো এই ছোট্ট গাছটির। 

আরও পড়ুন- আর বঞ্চিত থাকবে না দেড় কোটি মানুষ! ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে শুরু কাশ্মীরের নতুন যুগ

আরও পড়ুন- ৩৭০ ধারাতেই জম্মু কাশ্মীরে লম্বা হয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদের শিকড়

লাদাখের বাসিন্দারা এই গাছটির ফুল বাদ দিয়ে বাকি অংশটিকে সবজি বা শাক হিসেবেই ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু গত এক দশকেরও বেশ সময় ধরে এই ঔষধি গুণ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা করছেন লেহতে অবস্থিত ডিফেন্স ইন্সস্টিটিউট অফ হাই অলটিচিউড রিসার্চের বিজ্ঞানীরা। 

গবেষকদের দাবি, ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচু এাকায় মানুষকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে এই গাছের পাতার নির্যাস। অক্সিজেনের ঘাটতির সঙ্গে লড়ার জন্য শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষমতা রাখে এই গাছ। এর পাশাপাশি তেজস্ক্রিয়তা থেকেও বাঁচতে সাহায্য করার মতো ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে এই গাছের। 

বৃহস্পতিবার নিজের ভাষণে এই সোলো গাছের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'লাদাখের কোলে জন্মানো সোলো গাছের যা গুণ রয়েছে, তাতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে গোটা বিশ্বে এর বিপুল চাহিদা তৈরি হবে। যা লাদাখের কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবে। আপনারা কী চান না, এই গাছের কদর গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ুক?'

লেহতে অবস্থিত ডিআরডিও-র গবেষকদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে,ছোট্ট এই গাছই যুদ্ধে ব্যবহৃত কেমিক্যাল বোমা থেকে নির্গত গামা রশ্মির বিষক্রিয়া থেকে সেনাদের শরীরকে রক্ষা করতে পারে। পাশাপাশি. ভৃপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে পাহাড়ি অঞ্চলে অক্সিজেনের ঘাটতির মোকাবিলা করতেও সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে পারে এই গাছ। পাশাপাশি এই ছোট্ট গাছ অবসাদ দূর করা এবং হজম শক্তি বাড়ানোর মতো ক্ষমতা রাখে বলেই গবেষকদের দাবি।