সংক্ষিপ্ত

  • দুর্ঘটনার কবলে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর গাড়ি
  • রামপুর যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা
  • প্রিয়ঙ্কা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা অন্য গাড়ির
  • মৃত কৃষকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন প্রিয়ঙ্কা

ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে কোনওমতে প্রাণে রক্ষা পেলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়ড়া। জলন্ধরের রামপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল প্রিয়ঙ্কার কনভয়। সেখানে তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া কৃষক নভরিত সিং-এর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। সেই যাত্রাপথে, ৪ ফেব্রুয়ারু সকালে হাপুর রোডে এই দুর্ঘটনা। 

আরও পড়ুন- কৃষক আন্দোলন নিয়ে চলছে ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র, স্পষ্ট হল গ্রেটা থুনবার্গের মুছে ফেলা বার্তা থেকে

 

জানা গিয়েছে, প্রিয়ঙ্কার গাড়ির চালক আচমকা ব্রেক কষায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রিয়ঙ্কার গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে আচমকা কাদা জল এসে পড়ে। ওয়াইপার দিয়ে চলন্ত গাড়িতে উইন্ডস্ক্রিন পরিস্কার করার চেষ্টা করেন চালক। কিন্তু, ওয়াইপারে জল না থাকায় উইন্ডস্ক্রিন পরিস্কার হয়নি। ফলে তিনি আচমকাই ব্রেক কষে দেন যাতে সামনে কোনও কিছুর সঙ্গে গাড়ি ধাক্কা না মারে। প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর গাড়ির পিছন পিছন আরও চার থেকে ৫টি গাড়ি ছিল। এগুলি সবই প্রিয়ঙ্কার সহকারী নেতা এবং অনুগামীদের গাড়ি ছিল। প্রিয়ঙ্কার গাড়ির চালক আচমকা ব্রেক কষায় অন্যগাড়িগুলোর চালকরাও হতচকিত হয়ে পড়েন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের এক গাড়ি একে অন্যকে ধাক্কা মারে। 

একটা পর একটা গাড়ি এভাবে ধাক্কা মারায় তীব্র আওয়াজ হয়। এবং স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় গাড়ির তীব্র আওয়াজ হলেও কারোরই আঘাত গুরুতর ছিল না। প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও সুস্থ রয়েছেন বলেই দাবি করা হয়েছে। 

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে যে ট্রাক্টর র্যালি হয়েছিল, তাতে অংশ নিয়েছিলেন তরুণ কৃষক নভনীত। তিনি ট্রাক্টর চালিয়ে যাওয়ার সময় দিল্লির আরটিও-র কাছে দুর্ঘটনায় পড়েন। দুরন্ত গতিতে থাকা ট্রাক্টর গার্ড রেলের সঙ্গে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিস নভনীতের। এই নিয়ে বহু বিতর্ক তৈরি হয়। পরে, বিক্ষোভরত কৃষকরা পুলিশের সাহায্যে নভনীত-এর দেহ সরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু, ট্রাক্টর র্যালিতে হওয়া এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি এখনও অব্যাহত।