সংক্ষিপ্ত

বিহারের বাসিন্দা ইকবাল দুররানি হাম তুম দুশমন দুশমান, গান্ধী সে পহেলে গান্ধী, হিন্দুস্তান, দুকান, মিট্টি, বেতাজ বাদশা, খুদ্দর, পরদেশী, ধরতিপুত্র, নয়া জাহের-এর মতো সিনেমা পরিচালনা করেছেন।

প্রখ্যাত বলিউড নির্দেশক এবং প্রযোজক ইকবাল দুররানির হিন্দি এবং উর্দুতে প্রাচীন ভারতীয় ধর্মগ্রন্থ সামবেদের উপর বইটি শুক্রবার লঞ্চ করা হয়। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন যে মহাকাব্য প্রকল্পে কাজ করার সময় তাকে ছয় বছর কাজ ছাড়া থাকতে হয়েছে। দুররানি বলেছিলেন যে তার বই - হিন্দি এবং উর্দুতে বিশ্বের প্রাচীনতম সংস্কৃত ধর্মগ্রন্থ সামবেদের অনুবাদিত সংস্করণ - ইশক কা তররানা, যার অর্থ প্রেমের সঙ্গীত।

বিহারের বাসিন্দা ইকবাল দুররানি হাম তুম দুশমন দুশমান, গান্ধী সে পহেলে গান্ধী, হিন্দুস্তান, দুকান, মিট্টি, বেতাজ বাদশা, খুদ্দর, পরদেশী, ধরতিপুত্র, নয়া জাহের-এর মতো সিনেমা পরিচালনা করেছেন। বইগুলি লেখার ক্ষেত্রে তার চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়ে দুররানি বলেছিলেন, "আমার আয়ের কোনও উত্স ছিল না, তবে আমি তাও বেঁচে গিয়েছিলাম, আমার পরিবারকে মুম্বাইয়ে রেখেছিলাম, আমি জানতাম এই সিদ্ধান্ত কঠিন ছিল, কারণ এই সময়ের মধ্যে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করতে পারতাম, কিন্তু এই বই আমার স্বপ্ন ছিল, যাকে ছেড়ে দেওয়া কঠিন।"

সামবেদ হল আনুমানিক ১৫০০ এবং ১২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লেখা সংস্কৃত স্তোত্রের একটি বই। তিনি বলেছিলেন যে বইটি লেখার জন্য তাকে চলচ্চিত্রের কাজ থেকে বিরতি নিতে হয়েছিল কারণ এই দুটি কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব ছিল না। ইকবাল দুররানি বলেছিলেন যে এই বইটির অনুবাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল চলচ্চিত্রের সাথে তার ব্যস্ততা। আমি চলচ্চিত্রে কাজ করছিলাম এবং চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় এই বইটি অনুবাদ করা খুব কঠিন ছিল। দ্বিতীয়ত, আমি একজন পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র এবং একজন মুসলিম। তাই আমার অনুবাদ কাজের পথে অনেক বাধা এসেছিল।"

শুক্রবার নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত তাঁর বই প্রকাশ করেন। ইকবাল দুররানি বলেন, ৪০০ বছর আগে মুঘল যুবরাজ দারা শিকোহ উপনিষদ অনুবাদ করেছিলেন এবং তিনি বেদ অনুবাদ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার ভাই আওরঙ্গজেব তাকে শাহজাহানের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুদ্ধে হত্যা করেছিলেন। লেখক বলেন “আজ, প্রধানমন্ত্রী মোদীর শাসনে, আমি তার স্বপ্ন পূরণ করেছি। আওরঙ্গজেব হেরে গেলেন আর মোদী জিতে গেলেন”। মাদ্রাসার পাঠ্যসূচিতে তার বইয়ের প্রচলনের পক্ষে কথা জানিয়ে দুররানি বলেন, "এই বইটি মাদ্রাসায় পড়ানো উচিত যাতে শিশুরা জানতে পারে কোনটি সঠিক এবং কোনটি ভুল। শিশুকে সঠিক উপায়ে আগ্রহী করার জন্য যথেষ্ট দৃষ্টান্ত রয়েছে এই বইতে।"

তিনি শীঘ্রই এর ডিজিটাল সংস্করণ চালু করার পরিকল্পনা করছেন এবং সেটি ইউটিউবে আপলোড করা হবে। সামবেদ যাতে স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপের মাধ্যমে সবার কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে ওঠে, সেই চেষ্টা করবেন তিনি বলে জানান দুররানি।