সংক্ষিপ্ত
৭০ বছর পর ভারতের বুকে চিতা-র অস্তিত্ব তৈরি করা নিয়ে তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন পরিবেশবিদরা।কিন্তু কংগ্রেসের দাবি এই সাফল্যের পুরোপুরি ভাগিদার তারাই ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রাণিজসম্পদ রক্ষার্থে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ পরিবেশবিদরা। এর মাঝেই কংগ্রেসের ফাঁস করে দেওয়া একটি তথ্য , রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। প্রধানমন্ত্রীর প্রসংশায় চারিদিক যখন মুখর , তখন কংগ্রেস তাদের একটি টুইটবার্তায় জানায় যে নামিবিয়া থেকে চিতা আনার প্রস্তাব নাকি পাশ হয়েছিল কংগ্রেস আমলেই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সময়কালে এই চিতা আনার বিষয়টি প্রথম প্রস্তাবিত হয়।
পরবর্তীকালে মনমোহন সিংহ এই বিষয়টিতে অনুমোদনও দেন। তাদের দাবি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর যে উদ্যোগটি নিয়ে সারা দেশ মাতামাতি করছে আদতে এই উদ্যোগ তার নয়ই । ২০০৮-২০০৯ সালে এই বিষয়টি যখন প্রস্তাবিত হয়েছিল তখন নরেন্দ্র মোদী কোনোভাবেই জাতীয় রাজনীতির অংশ ছিলেন না। তাই প্রাণীজ সম্পদ বিকাশের জন্য তার ভূমিকাকে যেভাবে দেখা হচ্ছে সেটি একেবারেই ঠিক নয়
কংগ্রেস শুধুমাত্র অভিযোগ করেই ক্ষান্ত থাকেননি , অভিযোগের প্রমান স্বরূপ একটি পুরোনো টুইট এর কোথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন , যেখানে দেখা যাচ্ছে তৎকালীন পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ নামিবিয়ার চিতা সংরক্ষণ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করছেন। ২০১০ এর এপ্রিলে জয়রাম রমেশের এই নামিবিয়া সফর যে ঠিক এই কারণেই হয়েছিল সেটাই জোর গলায় দাবি করছে কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের বুকে চিতা-র অস্তিত্ব তৈরি করা নিয়ে তৎপর হয়েছিলেন অনেকদিন আগেই । এই নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই গবেষণাও চলছিল।
কিন্তু এই ৭০ বছর পর ভারতে চিতা আনার এই কৃতিত্ব যে তিনি যেভাবে একাই নিচ্ছেন তা মেনে নিতে পারছে না কংগ্রেস।
একটা সময় ভারতের বিভিন্ন জঙ্গলে চিতার দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু লাগাতার শিকারিদের শিকার করা এবং প্রাকৃতিক কারণে ভারতের বুকে চিতা অবলুপ্তির পথে চলে যায়। ৭০ বছর আগে শেষবার ভারতের বুকে সরকারি দস্তাবেজ অনুযায়ী চিতা দেখা গিয়েছিল। এরপর অর্থাৎ ১৯৫২ র পর আর কখনও চিতার দেখা পাওয়া যায়নি ভারতীয় জঙ্গলগুলিতে । সরকারি বনজ ও প্রাণীজ সম্পদ দফতরও ঘোষণা করেছিল যে ভারতের বুক থেকে চিতার অবলুপ্তি হয়েছে। তাই ৭০ বছর পর ভারতের বুকে চিতা এনে তাদের জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে নির্দ্বিধায় এক অসাধ্য সাধন করলো ভারত সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ভারতের প্রাণীসম্পদ ও বনজ সম্পদ বিকাশের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞমহল। ৭০ বছর পর এই বিরল ঘটনার সাক্ষি হতে পেরে আপ্লুত কুনো জাতীয় উদ্যানের বনবিভাগের কর্মীরা। কিন্তু তার মাঝেই কংগ্রেস সরকারের এই টুইট নিয়ে রীতিমতো সরগরম রাজনৈতিক মহল