সংক্ষিপ্ত

বছর বদলের সঙ্গে সঙ্গে কৌশলল বদলালেন মোদী। সিএএ বিরোধীদের বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক থেকে হলেন কড়া আক্রমণাত্মক। কংগ্রেস-কে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলার চ্যালেঞ্জ করলেন। সিএএ বিরোধীদের ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়াদের আশ্রয়দানের বিরোধী বললেন মোদী।

 

এতদিন কৌশল ছিল অনেকটাই রক্ষণাত্মক। কিন্তু বছর ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে সেই অবস্থান বদলালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার কর্নাটকের এক সভা থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধীদের একেবারে স্ট্রেট ব্যাটে তুলে মারলেন তিনি। কংগ্রেস ও তার সহযোগী সিএএ- বিরোধীদের নিন্দা করে এদিন তিনি বলেন পাতিস্তানের নিপীড়নের বিরুদ্ধে এদের মুখ খুলতে শোনা যায় না। কিন্তু পাকিস্তানে নিপীড়নের শিকার হওয়া  মানুষদের আশ্রয় দিতে গেলে তার বিরোধীতা করে।

কর্নাটকে শ্রী সিদ্ধগঙ্গা মঠে এক সভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল  ধর্মের ভিত্তিতে। সেই কারণেই হিন্দু, শিখ, জৈন এবং খ্রিস্টানদের মতো সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংস অত্যাচার হয়েছে। কিন্তু, কংগ্রেস এবং তার সহযোগীদের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায় না। তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার ধর্মীয় কারণে নৃশংসতা এবং মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন রোধ করার প্রচেষ্টা করছে। আর সিএএ-বিরোধীরা এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে মিছিল-বিক্ষোভ করছে।

ভরা সভায় নরেন্দ্র মোদী বিস্ময় প্রকাশ করেন, সিএএ-র বিরোধীরা কেন পাকিস্তানের নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলছে না? কে তাদের বাধা দিচ্ছে? এমনকী কংগ্রেস, তার সহযোগী ও অন্যান্য বিজেপি বিরোধী শক্তিরা এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সংসদের বিরোধিতা করছে বলেও দাবি করেন তিনি। কারণ নাগরিকত্ব বিলকে আইনে পরিণত করার 'ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত' সংসদই নিয়েছে।

'সবকা বিশ্বাস'-এর স্লোগান তোলা প্রধানমন্ত্রী এদিন সাফ জানান, ভারত কখনই পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়ে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান এবং শিখদের 'তাদের ভাগ্য'-এর উপর ছেড়ে দিতে পারে না। তাদের রক্ষা করাটা এই দেশের দায়িত্ব। তিনি আরও দাবি করেন, বিশেষ করে পাকিস্তানের দলিত ও আদিবাসীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই তাঁর সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।