সংক্ষিপ্ত
- তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রথমেই অস্বীকার করেন রঞ্জন গগৈ।
- অভিযোগকারিণী ২২ জন উকিলকে হলফনামা দেন।
- বিষয়টি থতিয়ে দেখতে তৈরি হয় একটি কমিটি।
যৌন হেনস্থা কাণ্ডে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই রায়কে ঘিরেই বেনজির গণ্ডগোল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে। তার জেরেই মঙ্গলবার সকালে ৫৫ জনকে আটক করল দিল্লি পুলিশ।
মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়। তারপরেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে মঙ্গলবার সকালে আদালত চত্বরে এই রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নানা জায়গা থেকে জড়ো হওয়া বহু সমাজকর্মী। কিছুক্ষণের মধ্যে দিল্লি পুলিশের একটি দল এসে তাদের মধ্যে ৫৫ জনকে মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যায়। বিক্ষোভের পরে গোটা অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বর্ষীয়ান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ট্যুইটারে জানিয়েছেন, উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ না এলে তাদের ছাড়া হবে না।
গত ১৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন এক জন মহিলা। তাঁর দাবি ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। এবং তার প্রতিবাদ করায় তাঁকে চাকরি থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সমাজকর্মীদের দাবি এই রায়দানের পদ্ধতি স্বচ্ছ নয়। অন্তর্বতী তদন্তের রিপোর্ট পেশ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন তাঁরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের মত স্পর্শকাতর এলাকা যেখানে সারাদিন ১৪৪ ধারা জারি থাকে, সেখানে কী করে তাঁরা জমায়েতের পরিকল্পনা করলেন, তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আটক বিক্ষোভকারীদের ছাড়া পাওয়ার ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে দিল্লি পুলিশ।