সংক্ষিপ্ত
রবিবার শত শত হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। বিক্ষোভকারীরা নয়াদিল্লিতে কানাডা হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কানাডায় খালিস্তানী সমর্থকদের দ্বারা হিন্দু মন্দিরে হামলার নিন্দা করেছেন। কানাডার ব্রাম্পটনে কিছুদিন আগে খালিস্তানীরা এই হামলা চালিয়েছিল। এই হামলার প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিদেশ মন্ত্রণালয়ও নিন্দা জানিয়েছেন।
হিন্দু সংগঠনগুলির পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দিল্লির চাণক্যপুরী এলাকায় কানাডা হাই কমিশনের আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা এলাকায় প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার জন্য জায়গায় জায়গায় বেরিকেডও স্থাপন করেছিল। এছাড়াও পুরো চাণক্যপুরী এলাকায় প্রতিটি চৌমাথায় এবং প্রধান সড়কে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
হিন্দু-শিখ গ্লোবাল ফোরামের বিক্ষোভ
হিন্দু-শিখ গ্লোবাল ফোরামের ব্যানারে বহু মানুষ মিছিল করে হাই কমিশনে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। বেশ কয়েকজন বেরিকেড টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পুলিশ তাদের আটকে দেয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে হিন্দু-শিখ ঐক্য এবং ভারত হিন্দু মন্দিরের অবমাননা সহ্য করবে না ইত্যাদি স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।
কানাডার ব্র্যাম্পটনের একটি মন্দিরে রবিবার খালিস্তান সমর্থকরা মন্দিরে ঢুকে হিন্দু দর্শনার্থীদের ওপর ভয়াবহ হামলা চালায়। এতে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার হামলার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এই ধরণের হিংসা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ট্রুডো বলেন, "ব্র্যাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে ঘটা এই ধরণের হিংসাত্মক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। কানাডার প্রতিটি নাগরিকের নিজের ধর্ম স্বাধীন ও নিরাপদে পালন করার অধিকার রয়েছে।" এই ঘটনার ভিডিও দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। কানাডায় প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।