সংক্ষিপ্ত
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। করোনা আবহের মধ্যেই সামনে এল পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট। কোন রাজ্যে কবে হচ্ছে ভোট? জেনে নিন এক নজরে
রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছিল গত বছর থেকেই। অবশেষে হয়ে গেল প্রতীক্ষার অবসান। করোনা আবহের মধ্যেই সামনে এল পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট(Schedule of Assembly elections in five states)। ঘোষিত হয়ে গেল উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ার বিধানসভা ভোটের(Uttar Pradesh, Punjab, Uttarakhand, Manipur and Goa Assembly votes) দিনক্ষণ। বিকেল সাড়ে ৩টেয় সাংবাদিক বৈঠকে দিনক্ষণ ঘোষণা করতে দেখা গেল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রকে(Chief Election Commissioner Sushil Chandra)। যা নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। ১৮.৩৪ কোটি ভোটার রয়েছে ৫ রাজ্যে। এবারে মোট ৭ দফায় ভোট হতে চলেছে ৫ রাজ্যে। এর মধ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে পঞ্জাবে। নোমিনেশন জমার শেষ তারিখ ২৮ জানুয়ারি।
এদিকে পঞ্জাব বিধানসভায় রয়েছে মোট ১১৭টি আসন। এর মধ্যে শেষ ভোটে ২৯ শতাংশ ভোট গিয়েছিল কংগ্রেসের দখলে। আম-আদমি পার্টির দখলে গিয়েছিল ২৪ শতাংশ ভোট। সেখানে শিরোমণি অকালি দলের দখলে গিয়েছিল ২৫ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৫ শতাংশ ভোট। অন্যান্যরা পেয়েছিল ৭ শতাংশ ভোট। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে ১১৭টি আসনের মধ্যে ৭৭টি আসনেই জেতে কংগ্রেস। অন্যদিকে কংগ্রেসের পাশাপাশি পঞ্জাবে লড়াইয়ের ময়দানে দেখা গিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টিকে। শেষ নির্বাচনে আপের দখলে যায় ২০টি আসন। অন্যদিকে শেষ নির্বাচনে শিরোমণি অকালি দল ও বিজেপিকে জোট বেঁধে ভোটের ময়দানে নামতে দেখা যায়। তাদের দখলে আসে মাত্র ১৮টি আসন। এদিকেএর আগে ২০১৭ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ওই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। পঞ্জাবের ১১৭, উত্তরাখণ্ডের ৭০ এবং গোয়ার ৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল এক দফাতেই। মণিপুরের ৬০টি বিধানসভা আসনে দু’দফায়। এবারে তাতে খানিক বদল এসেছে।
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের সঙ্গে জোরদার টক্কর আপ-বিজেপির, একনজরে ২০১৭ সালের পঞ্জাব বিধানসভার ফলাফল
গত ৫ ডিসেম্বর ৫ রাজ্য পরিদর্শন করেছেন নির্বাচনী আধিকারিকেরা। এরপরই রাজ্যে আধিকারিকদের সঙ্গে ভোট নিয়ে বিশেষ আলোচনাও হয়। করোনা পরিস্থিতি ভোট করানো নিয়ে কথা হয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে। তারপরই দিনক্ষণ ঠিক করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি কোভিডকালে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। ১৬ শতাংশ বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে গত বারের থেকে। কোভিড থাকায় প্রতি বুথে কমছে ভোটার। প্রতিবুথে ১৫০০-র বদলে ১২৫০ জন করে ভোটার থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে পঞ্জাবে বর্তমানে ৮৮ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার ১টি করে ডোজ ও ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ দুটি করে ডোজ পেয়ে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে টিকাকরণের নিরিখে পাঁচা রাজ্যের মধ্যে সবথেকে ভালো অবস্থায় রয়েছে গোয়া। এদিন সাংবাদিক বৈঠেকের শুরুতে এই সমস্ত তথ্যও তুলে ধরা হয় নির্বাচন কমিশনের তরফে।