সংক্ষিপ্ত
পঞ্জাবে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস- মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সিধুর মধ্যে যেকোনও একজনকেই বেছে নিতে চলেছে। তবে কংগ্রেস এমন ব্যবস্থা করতে চায় যাতে দুজনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।
নভজ্যোৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) না চরণজিৎ সিং চন্নি(Charanjit Sinfg Channi)- কে হবেন পঞ্জাবের কংগ্রেস (Congress)মুখ্য়মন্ত্রী (Punjab CM)পদপ্রার্থী- রবিবারই সেই ঘোষণা করতে পারেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। পঞ্জাব বিধানসভা নির্বচনের (Assembly Election 2022) জন্য রবিবার ভোটপ্রাচার করেন তিনি। লুধিয়ানা সফরেও যাবেন। সেখানে একটি ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকেই রাহুল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন।
পঞ্জাবে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস- মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সিধুর মধ্যে যেকোনও একজনকেই বেছে নিতে চলেছে। তবে কংগ্রেস এমন ব্যবস্থা করতে চায় যাতে দুজনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।
পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা হরিশ চৌধুরী জানিয়েছেন আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রাহুল গান্ধী লুধিয়ানা যাবেন। সেখানেই সেই সময়ই তিনি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন। সিধু ও চন্নি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি নাম নিয়েও কংগ্রেস আলোচনা করেছে বলে সূত্রের খবর। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন দলের সুপ্রিমো সনিয়া গান্ধীও।
হরিশ চৌধুরী জানিয়েছে ১১৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়াক ও দলের নেতারা রাহুলের লুধিয়ানা সফরের সময় উপস্থিত থাকবেন। নির্বাচন কমিশনের কোবিভ বিধি মেনেই কংগ্রেস পঞ্জাবে প্রচার করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, কংগ্রেস খুব তাড়াতাড়ি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবে। তবে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন সেই সিদ্ধান্ত নেবে দলের কর্মীরা। তিনি বলেছেন, 'আমরা সাধারণত ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করি না। কিন্তু কংগ্রেস কর্মীরা চাইলে দলের একটি মুখ নির্বাচন করা হবে। এই বিষয়ে রাজ্যের ও কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে।' যদিও পঞ্জাবের শাসক দল আগে জানিয়েছেন ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পরেই পঞ্জাব কংগ্রেস থেকে কে প্রধানমন্ত্রী হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাহুল গান্ধী জলন্ধরের একটি সভায় এই মন্তব্য করেছিলেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সিধু-চন্নি দুজনেই। এদিন রাহুল গান্ধী মনমোহন-সনিয়ার কথাও উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছেলিন, দুই জন কখনই নেতৃত্বে থাকতে পারে না। কেবল একজনই নেতৃত্ব দিতে পারে। একজন নেতৃত্ব দিলে অন্যজন সর্বাত্মক সমর্থন দেবে এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন পঞ্জাবে ভোটে জিততে প্রয়োজন শাস্তি আর ভ্রাতৃত্বের। তিনি আরও বলেছেন পঞ্জাবের প্রচুর মানুষ দলের জন্য রক্ত দিয়েছেন। তাঁদের কথা ভুলে গেলে চলবে না। তিনি আরও বলেন তিনি পঞ্জাবের মানুষের পাশাপাশি মনমোহন সিং-এর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন।