সংক্ষিপ্ত

৯ মাস বন্ধ থাকার পর ডিসেম্বরে খুলেছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির(Puri Jagannath Temple)। কিন্তু ফের করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের কারণ বন্ধ হয়ে গেল পুরী মন্দির। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আপাতত মন্দির জগন্নাথ ধাম। 

দেশ জুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউ। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের (Omicron) সংখ্যা। অনেকেই এতে তৃতীয় ঢেউ না বলে সুমানি বলেও আখ্যা দিয়েছে। প্রতিদিন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশেদৈনিক সংক্রমণ এক লক্ষ পেরিয়েছে। খুব শীঘ্রই তা ৩ লাখ পেরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে আর পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) খোলা রাখার ঝুঁকি নিতে পারলেননা কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে মন্দির ফের সাধারণের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাস করোনার কারণে বন্ধ থাকার পর অবশেষে গত ডিসেম্বর মাসে কোভিডবিধি মেনে ভক্তদের জন্য পুরীর মন্দিরের দরজা খোলে। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে তা ফের বন্ধ হয়ে গেল।

পুরীর মন্দির খোলার কিছুদিন পর থেকেই ফের দেশ জুড়ে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে যা ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করে। এই পররিস্থিতি ডিসেম্বর মাসেও ২দিন পুরীর মন্দির বন্ধ রাখা হয়েছিল।গত ২৫ ও ৩১ ডিসেম্বরের পাশাপাশি  মন্দি সাধারণের জন্য বন্ধ ছিল নতুন বছরের প্রথম দিনও। শুক্রবার মন্দির কর্তৃপক্ষের বৈঠক ছি‌ল। ‘ছত্তিশা নিয়োগ’ কমিটিই জগন্নাথ মন্দির সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।  সেই সঙ্গে শ্রীজগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ এসজিটিএ’র সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা আধিকারিকরাও। বৈঠকের পরে পুরীর জেলাশাসক সমর্থ ভার্মা সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, ভক্ত ও সেবকদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ১০ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে মন্দির। তারপর মন্দির খোলার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতই ওড়িশাতেও দ্রুত গতিতে বাড়ছে সংক্রমন। পুরীর মন্দিরের অন্দরেো ছড়িয়ে পড়েছে সক্রমণ। আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক  মন্দির প্রশাসনের সদস্য থেকে সাধারণ সেবক, পাণ্ডা, পুরোহিতরা। যেই কারণেই সকলের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনার প্রথম লকডাউনের সময় থেকে বন্ধ হয়েছিল পুরীর মন্দিরের দরজা। পরে পরিস্থিতি যখনও স্বাভাবিক হয়েছে খোলা পুরীর মন্দির। ২০২১ সালের মার্চমাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা বন্ধ ছিল। আবার ফের বন্ধ। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও পরিস্থিতি বিচার করেই নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।