- Home
- India News
- দ্বিতীয়বার জন্য খুলল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার, ভিতরের রত্ন কক্ষ থেকে অলঙ্কার স্থানান্তর
দ্বিতীয়বার জন্য খুলল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার, ভিতরের রত্ন কক্ষ থেকে অলঙ্কার স্থানান্তর
- FB
- TW
- Linkdin
খোলা হল রত্নভাণ্ডার
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার। এবার খোলা হল ভিতরের গোপন কক্ষ। যেখানে সাধারণত জগন্নাথদেবের সঙ্গে বলভদ্র ও সুভদ্রার অব্যবহৃত অলঙ্কার ও মূল্যবান সামগ্রী রাখা থাকে।
দ্বিতীয়বার রত্নভাণ্ডার খোলা
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলা হল। আগেই পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল মন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলা হবে।
শুভ সময় খোলা হয়
পুরীর মন্দির জানিয়েছিল সকাল ৯টা ৫১ মিনিটে রত্নভাণ্ডারের ভিতরের কক্ষ হয়ে ছিল।
নিয়ম মেনে মন্দিরে প্রবেশ
ভগবান জগন্নাথ এবং তার ভাইবোনদের সামনে প্রার্থনা করার পরে, রত্ন ভান্ডার থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র স্থানান্তরের জন্য ওড়িশা সরকার কর্তৃক গঠিত একটি তত্ত্বাবধায়ক কমিটির সদস্যরা সকাল ৯টার দিকে মন্দিরে প্রবেশ করেন।
ওড়িশা কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জানান
মন্দিরে প্রবেশের আগে তত্ত্ববধায়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও ওড়িশা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, 'আমরা রত্নভাণ্ডারের ভিতরে প্রবেশের জন্য ও সমস্ত সঞ্চিত মূল্যবান সামগ্রী স্থানান্তরের জন্য জগন্নাথদেবে আশীর্বাদ চেয়েছি। '
এবার ভিতরের প্রকোষ্ঠে কাজ
৪৬ বছর পরে রবিবার প্রথম পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বাইরের কক্ষ থেকে মূলব্যান সামগ্রী সরাতেই সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই দ্বিতীয়বার বৃহস্পতিবার খোলা হয়। এবার ভিতরের গোপন রত্নকক্ষ থেকে সামগ্রী সরান হবে।
পুরীর মহারাজের বার্তা
পুরীর মহারাজ বলেন, সন্ধের মধ্যেই ভিতরের প্রকোষ্ঠ থেকে সমস্ত মূল্যবান সামগ্রী স্ট্রং রুমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তার পর সেই স্ট্রং রুম সিল করে দেওয়া হবে এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হবে। সব জিনিসপত্র রত্নভান্ডার থেকে সরানোর পর গহনা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রীর একটি তালিকা তৈরি করা হবে।
গোপন সুড়ঙ্গ
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার নিয়ে লোকমুখে নানা গল্প প্রচলিত ছিল। যারমধ্যে অন্যতম সাপ আর রত্নকক্ষের গোপন সুড়ঙ্গ। প্রথম দিন অবশ্য পাহারাদার সাপের দেখা পাওয়া যায়নি। এবার খোঁজ শুরু গোপন সুড়ঙ্গের। যা জানা যেতে পারে রত্নকক্ষ মেরামতির সময়।
পুরীর জেলা শাসকের বার্তা
পুরীর জেলা শাসক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি কাজ না শেষ হয় তাহলে বাকি কাজ করা হবে শুক্রবার। গোটা ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হবে। সব সামগ্রী সরিয়ে নেওয়া হবে।
৭০ দিনের গণনা
৪৬ বছর আগে টানা ৭০ দিন ধরে ভগবান জগন্নাথদেবে গয়না , দানের সামগ্রী গণনা করা ও তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে এবার এই কাজে কতদিন সময় লাগে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।