উত্তর প্রদেশে বিজেপির খারাপ ফলের কারণ যোগীজি? ছবিতে দেখুন বিজেপির তদন্ত রিপোর্ট
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হতাশ করে যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশ। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে পরেও আশানুরূপ ফল হয়নি উত্তর প্রদেশে। সূত্রের খবর খারাপ ফলের কারণে নিয়ে কাটাছেঁড়া করে রিপোর্ট পেশ বিজেপির।
- FB
- TW
- Linkdin
উত্তর প্রদেশে বিজেপির খারাপ ফল
বারাণসী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার পিছিয়ে থেকে মাত্র দেড় লক্ষে ভোটে জয়ী হয়েছেন। এবার উত্তর প্রদেশে ৩৬টি আসন পেয়েছে বিজেপি, যা ২০১৯ এর নির্বাচনের অর্ধেক বলা যেতে পারে। অন্যদিকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদবের কংগ্রেস - সমাজবাদী পার্টির জোট।
বিজেপির খারাপ ফলের ৬টি কারণ
কেন উত্তর প্রদেশে খারাপ ফল গেরুয়া শিবিরের- লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই তাই নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। এই বিজেপির একটি রিপোর্টে খারাপ ফলাফলের জন্য ৬টি কারণকে দায়ী করা হয়েছে।
প্রথম কারণ
উত্তর প্রদেশে বিজেপির ভোট ৪% কমেছে লোকসভা নির্বাচনে। আর সেই কারণে আগামী দিনে সুবিধেবঞ্চিত ও সুবিধেপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর মধ্যে ফারাক দূর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।
দ্বিতীয় কারণ
উত্তর প্রদেশের বিজেপির খারাপ ফলাফলের অন্য কারণে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস। যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে উত্তর প্রদেশের বিজেপির শীর্ষ নেতারা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ভোট জয়ের বিষয়ে। আর সেই কারণে দলের ফাঁক ফোকোরগুলি তাঁদের চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে রাজ্যের জনগণকে এবার থেকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে হবে।
তৃতীয় কারণ
প্রশাসনিক উৎশৃঙ্খলাতাকেও ভোটে খারাপ ফলাফলের জন্য দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রশাসনিক উৎশৃঙ্খলাতা দলীয় কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়িয়েছিল। প্রশাসনিক কাগজপত্র ফাঁস ও চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগও এর খারাপ ফলের জন্য দায়ী।
চতুর্থ কারণ
বিধায়কদের গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছে যোগী প্রশাসন। এমনটাও দাবি করা হয়েছে রিপোর্ট। যাতে অনেক বিধায়কই অপমাণিত বোধ করেছেন। দলের থেকেও অনেক জায়গায় প্রশাসনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। যা অসন্তোষ তৈরি করেছে দলীয় কর্মীদের মধ্যে। সূত্রের খবর রিপোর্টে তেমনই দাবি করা হয়েছে।
পঞ্চম কারণ
কুর্মি ও মৌর্য সম্প্রদায়ের সমর্থন হ্রাস ও দলিত ভোট হ্রাসকেও ভোটবাক্সে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ভোটগুলি মায়াবতী আর কংগ্রেসের মধ্যে ভাগ হয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ষষ্ঠ কারণ
রিজার্ভেশন নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির সমর্থন রাজ্যের মানুষের কাছে ক্ষোভ তৈরি করেছে। পাশাপাশি ওল্ড পেনশন স্কিমের মত সমস্যাগুলিও বিজেপির জনপ্রিয়তা হ্রাস করেছে। তুষের আগুনের কাজ করেছে অগ্নিবীর প্রকল্পও। যা তরুণদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার অন্যতম কারণ।
বিজেপির খারাপ ফল
বিজেপির সূত্রের খবর ভোটের আগে থেকেই দুর্বল কেন্দ্রগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসী। দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত ১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি আটটিতে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুরে বিজেপি ১৩টি বিধানসভার মধ্যে মাত্র ৬টি এগিয়ে ছিল। কানপুর বুন্দেলখণ্ডে বিজেপি ব্যর্থ হয়েছে। ১০টির মধ্যে মাত্র ৪টি আসন পেয়েছে।
নিশানায় যোগী
সূত্রের খবর রিপোর্টে যোগী আদিত্যনাথের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকেও তুলোধনা করা হয়েছে। পাল্টা তাঁর ডেপুটি কেশব মৌর্য দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।