সংক্ষিপ্ত

  • জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে গুলির আঘাতে নিহত হন সোনভদ্রের ১০জন গ্রামবাসী
  • নিহতদের পরিবারের সঙ্গেই দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী
  • সেইসময়েই তাঁর পথ আটকায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
  • ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রাহুল গান্ধী

রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তখন দাদার সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। আর এবার বোনের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদে এগিয়ে এলেন দাদা। উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রের ঘটনার কড়া সমালোচনা করলেন রাহুল গান্ধী।

এদিন উত্তরপ্রদেশে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই টুইট করে রাহুল জানান,  'জমি-বিবাদের জেরে নিহত সংখ্যালঘু দশজনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে প্রিয়ঙ্কাকে বেআইনিভাবে আটক করা একটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে এই ঘটনায় তা স্পষ্ট। এই ঘটনার জেরে বিজেপি সরকারের অসহায়তাই ফুটে উঠছে।' 

গত বুধবার একটি জমি সংঘর্ষে গুলির আঘাতে প্রাণ হারান উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রের ১০ জন গ্রামবাসী। আহতও হন বেশকিছু মানুষ। তাই সেখানে নিহতদের পরিবারের লোকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেলেন পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া। অভিযোগ সেখানে যাওয়ার পথেই তাঁর পথ আটকায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

জমি সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে আটক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী

প্রসঙ্গত,এদিন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর পথ আটকানোর পর মিরজাপুরে রাস্তাতেই বসে পড়েন প্রিয়ঙ্কা-সহ তাঁর দলের অন্যান্য সহকর্মীরা। প্রিয়ঙ্কার নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের ঘিরে ছিলেন। প্রিয়ঙ্কার দাবি, তাঁর ছেলের বয়সি একটি ছেলেকেও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়, সে বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আর তাঁদের সঙ্গেই দেখা করতে যাচ্ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু কোন আইনে তাঁকে আটকানো হল তাও জানতে চান তিনি। এই ঘটনার প্রসঙ্গে প্রিয়ঙ্কা জানান যে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির পাশাপাশি অপরাধ প্রবণতাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে বলেও জানান তিনি।