পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর আজ রাহুল গান্ধী আহতদের সাথে দেখা করতে জম্মু ও কাশ্মীর যাবেন। তিনি হামলায় আহতদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর সারা দেশে ক্ষোভের বাতাবরণ। এই হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তান হাইকমিশনের সামনে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ বিক্ষোভ করেছে। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। এই হামলার পর লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আজ জম্মু ও কাশ্মীর যাবেন, যেখানে তিনি পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের সাথে দেখা করবেন। 

আমেরিকা সফর ছেড়ে দিল্লিতে ফিরেছেন রাহুল গান্ধী

রাহুল গান্ধী আমেরিকা সফরে ছিলেন, কিন্তু এই হামলার পর তিনি বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লিতে ফিরে আসেন। উল্লেখ্য, এই পহেলগাম হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও তাদের সৌদি আরব এবং আমেরিকা সফর বাতিল করেছেন। এর আগে দিনে কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য এবং হামলার বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিক্রিয়া প্রস্তুত করার জন্য একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল।

১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যতক্ষণ না পাকিস্তান সীমান্ত পারের সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর সাথে সাথে ভারত আটারি চেকপোস্টও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাজনৈতিক নেতাদের সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে শাহ বলেছেন, "যদি কিছু ভুল না হত, তাহলে আমরা এখানে বসে থাকতাম কেন? কোথাও না কোথাও ত্রুটি ছিল যা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।" ২০১৯ সালের পর কাশ্মীরের সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর গোয়েন্দা ও অভিযানগত ব্যর্থতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এই স্বীকারোক্তি এসেছে। সরকার ২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া এই হামলার পরিস্থিতি তদন্ত করে চললেও, শাহের বক্তব্য সরকারের ত্রুটি স্বীকার করার একটি বিরল মুহূর্ত।

বৈঠকে বিরোধী নেতারা জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার স্থানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর অনুপস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন তোলেন।