সংক্ষিপ্ত
প্রতিরক্ষা কমিটির বৈঠক উপস্থিত হয়েও বেরিয়ে গেলেন রাহুল গান্ধী। বেলা তিনটের সময় ছিল প্রতিরক্ষা কমিটির বৈঠক। রাহুলের সঙ্গে তাঁর সহকর্মীরাও বৈঠক ত্যাগ করেন।
চিন নিয়ে আলোচনা করার অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাতেই সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিটির বৈঠক থেকে সটান বেরিয়ে গেলেন কংগ্রেস সাংসদ। সূত্রের খবর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অন্যান্য কংগ্রেস সাংসদরাও বৈঠক ত্যাগ করেন। বুধবার দুপুর বেলা তিনটি নাদার সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিটির বৈঠক হয়েছিল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেসের সদস্যরা। কংগ্রেস প্রথম থেকেই চিন সীমান্ত নিয়ে আলোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছিল। সূত্রের খবর সরকার পক্ষ তাতে রাজি হয়নি। তাতেই উষ্মা প্রকাশ করে বৈঠক ত্যাগ করেন রাহুল গান্ধীরা।
হাইতির রাষ্ট্রপতি হত্যায় 'মূল ষড়যন্ত্রকারী' ইমানুয়েল, জানুন রহস্যময় এই ধর্মগুরুকে
অন্যদিকে রাহুল গান্ধী দীর্ঘ দিন ধরেই চিনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্তব্যও শুনতে চেয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও গতবছর গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদল বৈঠক ডাকতে বাধ্য হয়েছিলেন বিরোধীদের চাপে। আর সেই বৈঠকেই মোদী জানিয়েছিলেন ভারতীয় ভূখণ্ডে কোনও বিদেশি শক্তি অনুপ্রবেশ করেনি। কোনও বিদেশি শক্তিকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। চিন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কড়া অবস্থান নেবে বলেও জানিয়েছিল।
সন্ত্রাস তহবিল বন্ধ করা জরুরি, আফগানিস্তান নিয়ে চিন-পাকিস্তানের সামনেই কড়া হুশিয়ারি বিদেশ মন্ত্রীর
যদিও ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে নতুন করে চিনা অনুপ্রবেশ হয়নি বলেই সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ভারত ও চিন দুই পক্ষই সেনা সরিয়ে নিয়েছে। সূত্রের খবর বেশ কয়েকটি এলাকা নিয়ে এখন জট অব্যাহত রয়েছে। আর সেই জট কাটাতেই সামরিক ও কূটনৈতির স্তরে একাধিক বৈঠক হচ্ছে।
প্রশান্ত কিশোর কি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর জল্পনায় শরদ পাওয়ারের নামও
অন্যদিকে এদিনই কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে কংগ্রেসের পার্লামেন্টারি স্ট্র্যাটেজিক কমিটির বৈঠক হয়েছিল। সূত্রের খবর সেই বৈঠকে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত ও চিনা অনুপ্রবেশের বিষয় উত্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশনে। রাজ্যসভায় এই বিষয়ে কংগ্রেস ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। অন্যদিকে কংগ্রেসের বাদল অধিবেশনে চিনাসহ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, টিকার ঘাটতি, কর্মসংস্থানের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তোলা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে।