সংক্ষিপ্ত
হাইতির রাষ্ট্রপতিকে বাড়িতে ঢুকে হত্যা করেছিল একদল দুষ্কৃতী। তবে মূল ষড়যন্ত্রকরী একজন চিকিৎসক তথা খ্রষ্টান ধর্মের যাজক।
হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েসের মূল হত্যাকারী হিসেবে যে সন্দেহভাজনের নতুন বিবরণ সামনে এসেছে তা রহস্যকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে। গত ৭ জুলাই নিজের বাসভবনেই দুষ্কতীদের হামলায় নিহত হন হাইতির প্রেসিডেন্ট। গুরুতর জখম অবস্তায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তবে হাইতির প্রেসিডেন্টের এই হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই কাটাছেঁড়া শুরু হয়েগেছে।
সন্ত্রাস তহবিল বন্ধ করা জরুরি, আফগানিস্তান নিয়ে চিন-পাকিস্তানের সামনেই কড়া হুশিয়ারি বিদেশ মন্ত্রীর
জোভেনেল ময়েসকে হত্যা করা হয় তাঁর বাড়িতেই। হামলা চালান হয়েছিল তাঁর স্ত্রীর ওপরেও। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ৬ কলম্বিয়ান সেনা, হাইতির ৩ বাসিন্দাসহ মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় পাঁচ জনকে এখনও খুঁজছে পুলিশ। তিন জন নিহত হয়েছে।
বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান, ৬ চিনা ইঞ্জিনিয়ারসহ নিহত ১০
স্থানীয় প্রশাসন সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে হাইতির ৬২ বছরের বাসিন্দা ইমানুয়েল স্যাননকে চিহ্নিত করেছে। সম্প্রতি সেই ব্যক্তি ইউটিউবে দেশের নেতা হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল। তবে রাজনীতির সঙ্গে তার তেমন কোনও যোগাযোগ নেই।
ব্রিটিশ ধনকুবেরের মাহাকাশ সফর, ভার্জিন গ্যালাকটিকে চড়ার অভিজ্ঞতা জানালেন রিচার্ড ব্রানসন
ইমানুয়েল স্যানন- একজন চিকিৎসক। একটি গির্জার যাজক। ফ্লোরিডার এক ব্যবসায়ী যিনি দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। ইমানুয়েলের এক বন্ধু জানিয়েছেন, ইমানুয়েল হাইতির লাইসেন্স প্রাপ্ত চিকিৎসক কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়। তিনি ধর্ম প্রচার করেন। ইমানুয়েলের আরও এক বন্ধুর দাবি মার্কিন প্রতিনিধি দল তাঁর কাছে এসেছিল। সেই দলটি নাকি ইমানুয়েলকে রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব দিয়েছিল।
হাইতির সমস্যা- বর্তমানে একাধিক সমস্যার জর্জরিত হাইতি। হিংসা বাড়ছে। মুদ্রাস্ফীতি ছড়িয়ে পড়েছে। খাদ্য আর জ্বালানীর দাম আকাশ ছুঁয়েছে। পাল্লা দিয়ে কমেছে জনগণের আয়। এই অবস্থায় বিরোধী নেতারা রাষ্ট্রপতিকে সরাতে চাইছিলেন। সম্প্রতী বেশ কয়েক মাস একাধিক বিক্ষোভ হয়েছে এই ছোট্ট আর দরিদ্র দেশটিতে। আর সেই সময়ই রাষ্ট্রপতির পদকে ক্রমশই শক্তিশালী করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন ময়েস।