সংক্ষিপ্ত
লন্ডনে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতের পরিবেশ শান্ত হওয়ার নামই নিচ্ছে না। এ নিয়ে কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীকে লাগাতার আক্রমণ করছেন বিজেপি নেতারা।
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করেল ব্রিটেন সংসদ একাধিক জায়গায় দেশের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। ব্রিটেনের সংসদে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী বলেন দেশের গণতন্ত্র প্রবল সংকটের মধ্যে রয়েছে। রাহুলের এই মন্তব্যের পরই গোটা দেশে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। বিজেপির ছোটবড় নেতারা একের পর নিশানা করেছিলেন রাহুল গান্ধীকে।
ফলে লন্ডনে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতের পরিবেশ শান্ত হওয়ার নামই নিচ্ছে না। এ নিয়ে কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীকে লাগাতার আক্রমণ করছেন বিজেপি নেতারা। এদিকে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। এতে তিনি লন্ডনে গণতন্ত্র নিয়ে তার বক্তব্যের বিষয়ে সংসদে কথা বলার অনুমতি চেয়েছেন।
লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি
ব্রিটেন থেকে ফেরার পর গত সপ্তাহে ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, ওম বিড়লা বলেছিলেন যে রাহুল গান্ধী লন্ডনে করা তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে লোকসভায় কথা বলতে চেয়েছিলেন। সূত্র জানিয়েছে যে তিনি লোকসভায়ও তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছিলেন। এ জন্য লোকসভার স্পিকারের কাছে সময় চেয়ে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
রাহুল গান্ধী প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি
কংগ্রেস নেতা লন্ডনে দেওয়া তার বিবৃতিতে এখনও কোনও জনসমক্ষে প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠকে তিনি তার বক্তব্য রক্ষা করেছেন। তিনি কখনো দেশকে অপমান করেননি বলেও দাবি করেন।
জেনে রাখা ভালো যে অতীতে, রাহুল গান্ধী ব্রিটেন সফর করেছিলেন এবং এই সময়ে তিনি ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংসদ কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেছিলেন। এই সময়ে, রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন যে ভারতে গণতন্ত্র হুমকির মধ্যে রয়েছে এবং আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলির হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন। আরএসএস ও বিজেপিকে নিশানা করা হয়েছে। রাহুল গান্ধী আরও দাবি করেছেন যে বিরোধী নেতাদের সংসদে কথা বলতে দেওয়া হয় না এবং তাদের মাইকগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদেশে দেওয়া এই বক্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীকে ঘেরাও করছে এবং বিদেশে ভারতীয় গণতন্ত্রকে অপমান করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরিও এই বিষয়ে রাহুল গান্ধীকে ঘেরাও করেছেন। সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বলেছেন যে সংসদে অচলাবস্থা শেষ করার জন্য রাহুল গান্ধীর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত।