সংক্ষিপ্ত

কংগ্রেস নেতার দাবি তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে সর্বপ্রথম যে কাজটি করবেন, তা হল মহিলাদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM of India) হলে প্রথম কাজ কী করবেন, এই প্রশ্ন করা হয়েছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে(Congress leader Rahul Gandhi)। এর উত্তরে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন রাহুল। কংগ্রেস নেতার দাবি তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে সর্বপ্রথম যে কাজটি করবেন, তা হল মহিলাদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা (women's reservation)। 

কয়েক মাস আগেই তামিলনাড়ু সফরে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী। এই সফরে তিনি তামিলনাড়ুর মুলাগোমুডুর সেন্ট জোসেফ স্কুলে পৌঁছেছিলেন। এরইমধ্যে শনিবার রাহুল তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিও শেয়ার করে রাহুল গান্ধী শেয়ার করে লিখেছেন, সেন্ট জোসেফ স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে কথাবার্তা বললাম ও নৈশভোজ করলাম। ওদের দিল্লি সফরে এবারের দীপাবলি আরও বিশেষ হয়ে উঠল।

এই অনুষ্ঠানেই রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁর প্রথম কাজ কী হবে, তারই উত্তরে এই জবাব দেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর দাবি তিনি শিশুদের বিনম্র হতে শেখাবেন। কারণ এই আচরণ থেকেই শিশুরা জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা পায়। সেন্ট জোসেফ স্কুলে সবার সঙ্গে ছোলে বাটোরে দিয়ে নৈশভোজ সারেন রাহুল।

এর আগে তিনি নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বাংলার ভাইফোঁটা আর উত্তর প্রদেশের- বিহারের ভাইদুজ- উৎসবের এই দিনে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে নাজেহাল দেশের আমআদমি, তখনই রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে রীতিমত কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা। রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের গাড়ি এখন উল্টো দিকে চলছে। এলপিজি (LPG Cylender)-র আকাশ ছোঁয়া দাম, তাই অনেক পরিবারই এখন বাধ্য হয়ে উনুন বা কাঠের আগুনেই রান্নাবান্না সারছে। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের বাণীর থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত। সেই কথাই স্মরণ করে রাহুল বলেছেন 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের গাড়ি এখন রিভার্স গিয়ারে।'

শনিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধী রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরাসরি নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রীকে। টুইট করে তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা তো  অনেক দূরে। লক্ষ লক্ষ পরিবারকে কাঠের উনুন জ্বালতে হচ্ছে রান্নার জন্য। মোদীর উন্নয়নের গাড়ি উল্টো দিকে হাঁটছে। পাশাপাশি ব্রেকও ব্যর্থ হয়েছে। হিন্দিতে প্রকাশি একটি সংবাদ মাধ্যমের ক্লিপও টুইট করেছেন রাহুল গান্ধী। 

সেই হিন্দি সংবাদ মাধ্যমের সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির কারণে গ্রামীণ এলাকার ৪২ শতাংশ মানুষই এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। সেই কারণেই আবারও কাঠের জ্বালানির ব্যবহার বেড়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে গ্রামীণ একালার অর্থনীতি এতটাই তলানিতে ঠেকেছে যে অনেক পরিবার রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে পারছে না। বা তাদের সামর্থ্য নেই।