সংক্ষিপ্ত

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ ছুঁয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের। টুইট করে তাঁরা লিখেছেন গত ২৪ ঘন্টা ধরে একটানা দুর্ঘটনাস্থলে বসে রয়েছেন রেলমন্ত্রী।

মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে প্রায় ৩০০। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ওড়িশার বালেশ্বর। এই শহরের বাহাঙ্গা বাজারের কাছে একের পর এক ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয়েছে পর পর ৩টি ট্রেন। শুক্রবার রাত থেকেই এলাকা জুড়ে মৃতদেহের স্তূপ। স্থানীয় মানুষরা দাবি করছেন, মোট ২০টি বগি উলটে যাওয়ায় যত মানুষ মারা গিয়েছেন, সেই সংখ্যা মোটেই পাঁচশোর কম নয়। শুক্রবার থেকে ঘটনাস্থলেই রয়েছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ কাজের প্রতিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের খোঁজ নিচ্ছেন তিনি। রবিবার দুপুরে টুইট করে জানিয়েছেন বেলা বারোটা বেজে পাঁচ মিনিটে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা গিয়েছে।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ ছুঁয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের। টুইট করে তাঁরা লিখেছেন গত ২৪ ঘন্টা ধরে একটানা দুর্ঘটনাস্থলে বসে রয়েছেন রেলমন্ত্রী। তাঁরা লিখছেন দেশের উচ্চশিক্ষিত রেলমন্ত্রী টানা বসে রয়েছেন। এই মানুষকে কোনওভাবেই যেন দায়িত্ব থেকে সরানো না হয়, তাহলে দেশেরই বড় ক্ষতি হবে।

 

 

শনিবারও দিনভর ঘটনাস্থলেই দেখা গিয়েছে অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। সেখানেই একাধিকবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। তিনি জানান 'ইলেকট্রনিং ইন্টারলকিং সিস্টেম পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে'।

দুর্ঘটনার জেরে প্রচুর ট্রেন বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরাও । এই পরিস্থিতিতে যত তারাতারি সম্ভব ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায় ততই মঙ্গল । শনিবার রাতে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন,'উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। রাত থেকেই রেললাইন পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে । রবিবার সকাল থেকে লাইন পরিষ্কার, লাইন পুনর্নির্মাণ এবং ওভারহেড তারে বিদ্যুতের কাজ চলবে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হবে সিগন্যালিং সিস্টেম পুনরুদ্ধারের কাজ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করা করা হচ্ছে সমস্ত কাজ।'

রবিবার রেলসূত্রে জানা যাচ্ছে হাওড়া থেকে বালাসোরে যাওয়ার জন্য দুটি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। ৪ জুন, রবিবার হাওড়া থেকে বালাসোর এবং হাওড়া ফেরার দু'টি মেমু ট্রেন চালানো হবে। একটি ট্রেন হাওড়া থেকে ছাড়বে ১০টা ৩০ মিনিটে। আবার আরেকটি ট্রেন হাওড়া থেকে দুপুর ১টায় ছাড়বে। এই ট্রেনগুলি হাওড়া এবং বালাসোরের মধ্যে সমস্ত স্টেশনে থামবে বলে জানাচ্ছে রেল।

দুর্ঘটনার জেরে উপড়ে গিয়েছে বালেশ্বর রুটের বাহানাগা স্টেশনের কাছের রেললাইন। ছাড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ট্রেনের বগির ভাঙা অংশ। দুর্ঘটনার জেরে প্রচুর ট্রেন বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরাও। এই পরিস্থিতিতে যত তারাতারি সম্ভব ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায় ততই মঙ্গল। তবে কবে থেকে আবার স্বাভাবিক হবে পরিষেবা? সেই প্রশ্নের উত্তরের জন্য আপাতত রেলমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।