সরকার কৃষকদের পুরনো পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে উৎসাহিত করতে একটি দারুণ প্রকল্প শুরু করেছে। এর অধীনে কৃষকরা প্রতি বছর ₹30,000 পাবে। এতে দূষণ কম হবে এবং গো-পালনকে উৎসাহিত করা হবে।
জয়পুর. বলদ ও গরুর মাধ্যমে লাঙ্গল চালিয়ে চাষ করা কৃষক বাস্তবে হয়তো খুব কমই দেখা যায়। যদিও সিনেমাতে এখনও এমন দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু এখন রাজস্থান সরকার (Rajasthan Government) এই পুরনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করছে। বলদ ও লাঙ্গলের মাধ্যমে চাষ করা কৃষকদের সরকার উৎসাহিত করবে। এর জন্য রাজস্থান সরকার একটি নতুন প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে।
রাজস্থান সরকারের এই প্রকল্প লাভজনক হবে
এই প্রকল্প রাজ্যের ছোট ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য লাভজনক হবে। যেখানে কৃষকরা প্রতি বছর 30 হাজার টাকা পর্যন্ত উৎসাহ ভাতা পাবে। সরকার এ বিষয়ে সব জেলার থেকে রিপোর্টও চেয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য হল, বর্তমানে চাষে অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। এতে মাটির উর্বরতা শক্তি তো কমেই, সেই সঙ্গে দূষণও অনেক বেশি ছড়ায়। তাই সরকার এই দুটো কমানোর জন্য এমন একটি প্রকল্প শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দূষণও কম হবে এবং পশুদেরও উপকার হবে
বলদ ও লাঙ্গলের মাধ্যমে চাষ করলে একদিকে যেমন দূষণ কম হবে, তেমনই গো-পালনও বাড়বে। কারণ আমরা দেখি যখন কোনও পশু দুধ দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তখন কৃষকরা তাদের আশ্রয়হীন ছেড়ে দেয়। কিন্তু এখন এভাবে চাষ হওয়ার কারণে কৃষকরা তাদের পশুদের চাষের কাজেও ব্যবহার করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধির আদলে উৎসাহ ভাতা পাওয়া যাবে
এ ধরনের চাষে একদিকে যেমন খরচ কম হবে, তেমনই মাটির উর্বরতা শক্তিও অনেক বেশি বাড়বে। এতে কৃষকদের লাভও হবে। সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধির আদলে উৎসাহ ভাতা দেবে। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পে পাওয়া উৎসাহ ভাতার সঙ্গে বলদ ও গরু থেকে পাওয়া গোবর ব্যবহার করার জন্য কৃষককে গোবর গ্যাস প্ল্যান্ট বসানোর জন্যেও ভর্তুকির ব্যবস্থা আছে। তাই কৃষকের লাভই লাভ। কৃষকরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য জেলা কৃষি দফতর অথবা নিকটবর্তী কৃষি পরিষেবা কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারেন।


