সংক্ষিপ্ত
- শহুরে দরিদ্রদের জন্য প্রকল্পের সূচনা
- ৮ টাকার বিনিময় পুষ্টিকর খাবার বিক্রি
- সরকার ভর্তুকি দেবে ১২ টাকা
- খাবারের তালিকা রীতিমত লম্বা
মাত্র ৮ টাকার বিনিময় খাবার দেওয়া হবে শহর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সেখানে মূলত রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হবে। একই সঙ্গে ক্যান্টিনে আসা দরিদ্র মানুষদের বসিয়ে মর্যাদার সঙ্গে খাবার দেওয়ার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প চালু করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করেছে রাজস্থানের অশোক গেহলট সরকার। সকাল ৮টা ৩০ থেকে দুপুর ১টা আবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিতরণ করা হবে।
খাবারের তালিকায় থাকছে ১০০ গ্রাম ডাল, ১০০ গ্রাম সবজি, ২৫০ গ্রামের চাপাটি আর আচার। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। প্রথম দিনে জয়পুর পৌরসভা এলাকায় ১০টি ইন্দিরা রসুই ক্যান্টিন থেকে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওয়ার রাজস্থান সরকার বছরে ৪কোটি ৮৭ লক্ষ মানুষকে খাবার পরিবেশনের লক্ষ্য গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পে ভর্তুতি হিসেবে রাজ্য সরকার জনপ্রতি ১২ টাকা করে দেবে।
এদিন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন খাবার খাবার জন্য কোনও পরিচয় পত্র বা সংশাপত্রের প্রয়োজন নেই। মাত্র ৮টাকার বিনিময় যেকেউই খাবার সংগ্রহ করতে পারেন। গোটা রাজ্যজুড়ে ২১৩টি শহুরে এলাকায় ৩৫৮টি ইন্দিরা রসুই খাবার বিলি করবে বলেও জানান হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ৭৬তম জন্মবার্ষিকী তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন গেহলট।
রাজ্য সরকারের তরফে জানান হয়েছে রাজ্যের মানুষ যাতে খালি পেটে ঘুমাতে না যায় সেই দিকেই লক্ষ্য় রেখেই এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে বসুন্ধধরা রাজে সরকার অন্নপূর্ণা রসুই নামে একই ধরনের এই প্রকল্প শুরু করেছিল। ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রকল্পটি বাতিল করে দেন কংগ্রেস সরকার। তারপরিবর্তেই ইন্দিরা রসুই প্রকল্প চালু করা হল বলেই দাবি করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।