সংক্ষিপ্ত
রাজস্থানের হাসপাতালে ওয়ার্মারে পুড়ে শিশুর মৃত্যু। তোলপাড় সরকারে হাসপাতাল। চিকিৎসায় গাফিলতের অভিযোগ একসঙ্গে দুই নার্সকে বরখাস্ত করল কর্তৃপক্ষ
জন্মের কিছুক্ষণ পরেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল একটি শিশুর। রাজস্থানের সরকারি হাসপাতাল সাক্ষী থাকল এই মর্মান্তিক ঘটনার। কারণ সদ্যোজাত শিশুটির জন্মের পরেই তাঁর দেহের উত্তাপ বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে শিশুটিকে জন্মের পরেই ওয়ার্মারে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি এতটাই গরম ছিল যে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী সে দিকে খেয়াল করেননি। ওয়ার্মের তীব্র গরমে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজস্থানের ভিওয়াড়া জেলার সরকারি হাসপাতালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নবজাতককে আইসিইউতে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার সকালে মৃত্যু হয় শিশুকন্যার। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই নার্সকে বরখাস্ত করেছে। তবে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।
যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে তার বয়স মাত্র ১১ দিন। সূত্রের খবর জন্মের সময় শিশুটির ওজন কম ছিল। সেই কারণে শিশুটিকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে ছিল শিশুটি। প্রথম থেকেই শিশুটিকে মাঝে মাঝে ওয়ার্মারে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে শিশুটির অবস্থা খারাপ হয়। তখন আবার তাকে ওয়ার্মারে দেওয়া হয়। তারপরই তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা মনে করছেন ওয়ার্মার অত্যান্ত গরম হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নার্সকে বরখাস্ত করে। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে।
সূত্রের খবর হাসপাতালে আরও একটি শিশু ছিল যাকে ওয়ার্মারে দেওয়া হয়েছিল। সেই শিশুটিও অসুস্থ হয়েছে। আঘাত গুরুতর বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর এই ঘটনা প্রথম নয় রাজস্থানে। এর আগেও একাধিকবার হাসপাতেলের গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমনিতেই পিছিয়ে পড়া রাজ্য হিসেবে পরিচিত রাজস্থান। কন্যাসন্তানেরও ঘাটতি রয়েছে। সেখানে এই ঘটনা যথেষ্ট স্পর্শকাতর বলেও মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল।