সংক্ষিপ্ত

রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো যাত্রার' ১৯ দিনের মধ্যেই রাজস্থান উত্তাল 'কংগ্রেস ছোড়ো মিশনে'। কিন্তু তারপরেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব 'এক ব্যক্তি একপদ নীতিতে' অনড় রয়েছে। এই অবস্থায় রাজস্থানের রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সভাপতি নির্বাচনের দৌড় থেকে সরিয়ে দিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলটকে।

রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো যাত্রার' ১৯ দিনের মধ্যেই রাজস্থান উত্তাল 'কংগ্রেস ছোড়ো মিশনে'। কিন্তু তারপরেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব 'এক ব্যক্তি একপদ নীতিতে' অনড় রয়েছে। এই অবস্থায় রাজস্থানের রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সভাপতি নির্বাচনের দৌড় থেকে সরিয়ে দিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলটকে। রাজস্থানের কুর্শি দখলকে কেন্দ্র করে তাঁরা আর শচীন পাইলটের মধ্যে তৈরি হওয়ার নতুন বিবাদকে কেন্দ্র করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। তেমনই জানিয়েছে সূত্র। 

রাজস্থানের পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লি থেকে জয়পুর এসেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ও অজয় মাকেন। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির দুই নেতার সঙ্গে দেখাই করতে রাজি হননি, অশোক গেহলট অনুগামী ৮২ জন বিধায়ক। তারা দিল্লিতে ফিরে গেহলটের বিরুদ্ধেই রিপোর্ট দেন বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস সূত্রের খবর শচীন পাইলটে আটকাতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিলেন অশোক গেহলট। আর সেই কারণে দলের মধ্যেই বিদ্রোহ উস্কে দিয়েছিলেন তিনি। আর বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতার এই পদক্ষেপ ভালোভালবে নেয়নি কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও সনিয়া গান্ধীর অত্যান্ত আস্থাভাজন অশোক গেহলট। তবুও তাঁর ওপর তিনি নাকি যথেষ্ট বিরক্ত। এই অবস্থা অশোক গেহলট দলের নেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়া ঠিক নয়। পাশাপাশি তিনি দলের দুই নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও অজয় মাকেনকে জানিয়েছেন এই ঘটনায় তাঁর কোনও হাত নেই। সূত্রের খবর সনিয়া গান্ধী তবুও তাঁর ওপর যথেষ্ট বিরক্ত হয়ে রয়েছেন। 

আগামী ১৭ অক্টোবর সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয় দাখিল করার কথা রয়েছে অশোক গেহলটের। তার আগে যদি রাজস্থানের পরিস্থিতি ঠিক না হয় তাহলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। 

 অশোক গেহলট অনুগামী প্রায় ৯০ জন বিধায়ক দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। রবিবার তাঁরা রাজ্যের স্পিকার সিপি জোশীর সঙ্গে দেখা করেন। বিধায়কদের দলে ছিলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়াল। প্রথমে তারা শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে বৈঠক করেন। সেই বৈঠেকেই স্থির হয় অশোক গেহলট যদি কংগ্রেস সভাপতি হন আর শচীন পাইলটকে যদি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয় তাহলে তারা তাঁকে সমর্থন করবে না। তারা গণইস্তফা দেবে বলেও জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, ২০২০ সালে শচীন পাইলট যখন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল তখনই ঠিক হয়েছিল ও প্রস্তাব পাশ হয়েছিল পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী গেহলট অনুগামী অর্থাৎ তাদের মধ্যে থেকেই নির্বাচন করা হবে। এখন যদি সেই প্রস্তাবের বিরোধীতা করা হয় তাহলে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।  ধারিওয়ালের বাড়িতে  সমস্ত পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।