সংক্ষিপ্ত
- নরেন্দ্র মোদীর নাম না করেই তাঁকে আক্রমণ করলেন সনিয়া গান্ধী
- এদিন তিনি রাজীব গান্ধীর ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বক্তৃতা দেন
- দাবি করেন ১৯৮৪ সালে বিপুল জনসমর্থন পেয়েও রাজীব কখনও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেননি
- গণতন্ত্রের নীতিগুলিকে ধংস করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে আদর্শের লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি
নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি বা আরএসএস - কারোরই নাম নিলেন না একবারের জন্যও। কিন্তু রাজীব গান্ধীর ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলতে গিয়ে আদতে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্য়েই আক্রমণ শানালেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি।
গত ১৮ অগাস্ট ছিল প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ৭৫তন জন্মদিন। এদিন সেই উপলক্ষ্যেই কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির কেডি যাদব স্টেডিয়ামে এক স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজীব-পত্নী সনিয়াই। বলতে উঠে তিনি তোলেন ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ।
সনিয়া বলেন, রাজীব পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, সেই ক্ষমতাকে কখনই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে কিংবা মানুষের স্বাধীনতা হরণের কাজে লাগাননি। কিংবা গণতন্ত্রের নীতিকে বিপদের মুখেও ফেলে দেননি। বরং ভারতীয়দের কাছে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন ভারতের ঐক্যকে ধরে রাখা যাবে এই দেশের বৈচিত্রকে উদযাপনের মধ্য দিয়েই।
ইন্দিরা গান্ধী হত্যার ফলেই ১৯৮৪ সালে নির্বাচন করতে হয়েছিল। সেই নির্বাচনে ইন্দিরার প্রতি সহানুভূতির হাওয়ায় কংগ্রেস বিপুল জয় পেয়েছিল। ৫৪১ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পায় ৪১৪টি আসন। এত জনসমর্থন কিন্তু নরেন্দ্র মোদীও পাননি।
সনিয়া আরও বলেন রাজীবের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী পালনটা জাতীয় কংগ্রেসের কোনও আচার-ধর্ম পালনের বিষয় নয়। বরং তিনি যে মূল্যবোধের সন্ধান দিয়েছিলেন, তাকেই আরও বেশি করে তুলে ধরার কর্মসূচি।
সেই মূল্যবোধগুলি যারা ধ্বংস করতে উদ্যত তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য কংগ্রেস কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি মেনে নেন, কংগ্রেস এখন খুবই কঠিন কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তবে তার পরেও 'বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে তার আদর্শগত সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে' বলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি।