সংক্ষিপ্ত

সোনিয়া গান্ধী পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য যিনি রাজ্যসভার সদস্য হতে চলেছেন। এর আগে ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৪-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।

 

রাজস্থান থেকে রাজ্য়সভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। রাজস্থান বিধানসভার মহাসচিব মহাবীর প্রসাদ শর্মা এমনটাই জানিয়েছেন। এই প্রথমবার রাজ্যসভার সদস্য হতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন।

সোনিয়া গান্ধী পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য যিনি রাজ্যসভার সদস্য হতে চলেছেন। এর আগে ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৪-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর এবার উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি কেন্দ্রীয় প্রার্থী হতে পারেন তাঁরই কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

রাজস্থান বিধানসভার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও বিজেপি নেতা চুন্নিলাল গারাসিয়া এবং মদন রাঠোর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। মঙ্গলবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারে শেষ দিন। কিন্তু এদের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় তিন নেতাকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজ্যসভার সদস্য মনমোহন সিং (কংগ্রেস) এবং ভূপেন্দ্র যাদব (বিজেপি) এর মেয়াদ আগামী ৩ এপ্রিল শেষ হতে চলেছে। বিজেপি সাংসদ কিরোদি লাল মীনা বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে ডিসেম্বরে বিধানসভা পদত্যাগ করার পরে তৃতীয় আসনটি খালি হয়ে যায়৷

রাজ্যসভার মনোনয়নপত্রের হলফনামা অনুসারে সোনিয়া গান্ধী কয়েক কোটি টাকার মালিক। রয়েছে প্রচুর সোনা ও রুপোর গয়না। জমিজমাও রয়েছে। কিন্তু তাঁর গাড়ি নেই। হলফনামা অনুযায়ী তিনি ১২.৫৩ কোটি টাকার মালিক। পাঁচ বছরে প্রায় ৭২ লক্ষ টাকা বেড়েছে তাঁর সম্পদ। সোনিয়া গান্ধী জানিয়েছেন, ইতালিতে তাঁর বাবার সম্পত্তির অংশীদার তিনিয সেখানে তাঁর সম্পত্তির শেয়ার ২৭ লক্ষ টাকা। পাঁচ বছর আগে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১১.৮২ কোটি টাকা। সনিয়া জানিছেন, ১৯৬৪ সালে ভিয়েনার ইস্টিটুটো সান্তা তেরেসা থেকে ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় তিন বছরের বিদেশী ভাষার কোর্স সম্পন্ন করেছিলেন। পরের বছর কেমব্রিজের লেনক্স কুক স্কুল থেকে ইংরেজিতে একটি সার্টিফিকেট কোর্স করেন।