সংক্ষিপ্ত
'অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন চাই', বাংলার হিংসাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় সরব বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। হিংসাকাণ্ডের কথা বলতে বলতে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে শেষ অবধি কেঁদে ফেলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
'অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন চাই', বাংলার হিংসাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় সরব বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বিজেপি সাংসদের বার্তায় উঠে আসে রামপুরহাটকাণ্ড থেকে ঝালদা কাউন্সিলর খুন-সহ ছাত্র নেতা আনিস খুনের প্রসঙ্গও। ততক্ষণে রাজ্যসভায় শুরু হয়েছে তুমুল হট্টোগোল। আর তারই মাঝে বাংলার এই হিংসাকাণ্ডের কথা বলতে বলতে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে শেষ অবধি কেঁদে ফেলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (BJP Leader Roopa Ganguly)।
'মৃত্য়ু সংখ্যাটা বড় নয়, কথাটা এটাই যে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে'
তিনি এদিন বলেন, এদিন পশ্চিমবঙ্গের বিষয়ে কথা বলতে চাই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গকেও নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাথা ঝুঁকে যায় আমার। বুঝেই উঠতে পারি না যে, কোথা থেকে শুরু করব। এরপরেই তিনি চলে যান রামপুরহাটকাণ্ডে। বলেন, কতজনের মৃত্যু হয়েছে, বলতে গেলে শুধুই বলতে হবে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুই আট জন, প্রশ্ন করেন নিজেই, তারপর খানিকটা থেমে বলেন কয়েকজন তো হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপরেই পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলকে কটাক্ষ করে রাজ্যসভার অধ্যক্ষকে বলেন , বেশি সংখ্যায় তো মারা যায়নি না স্যার বলে মূলত প্রশ্ন ছুড়ে দেন মমতার সরকাকেই। এরপরেই ফের ঠুকে বলেন, বেশি সংখ্যাক মৃত্যুতে তো কিছু এসে যায় না। কথাটা এটাই যে তাঁদের আগুনে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। কথাটা এটাই যে, সেখানে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হয়। পুলিশে ভরসা নেই। এখানেই শেষ নয়, এরপর অগ্নিমূর্তি ধারণ করে রূপে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বলেন, খুন হয়েছেন আনিস খান। যেখানে সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়েছে। ঝালদায় কাউন্সিলর হত্যা -সহ আরও ২৬ রাজনৈতিক হত্যা করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, কথা আমি এটা বলতে চাই স্যার। '
আরও পড়ুন, রামপুরহাটকাণ্ডে আর কাজ করবে না 'সিট', সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
'রাষ্ট্রপতি শাসন চাই'
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক প্রতিবাদে ততক্ষণে রাজ্যসভায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। ডেস্কে বাড়ি পড়ছে।আবেগ ধরে রাখতে না পেরে শেষ অবধি কেঁদে ফেলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বলেন 'বাংলায় দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবন। অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন চাই।' একুশের ভোট পরবর্তী হিংসা বাদ দিলেও, বাইশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে, পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক খুন হয়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যায় চূড়ান্ত বিতর্ক হয়েছে। সিট গঠন হয়েছে। কবর থেকে খুড়ে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত পর্যন্ত হয়েছে। সেখানেও আদতে এসেছে সেই সিবিআই তদন্তের দাবি। এখানেই শেষ নয়, ঝালদার কংগ্রেসের কাউন্সিলর হত্যায় ইতিমধ্য়ে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। গোটা ঝালদা শহর জুড়ে পড়েছে পোস্টার। এবার একেবার এই মুহূর্তে শিরোণামে যে খবর রয়েছে, সেই রামপুরহাটকাণ্ডেও রাজ্যপুলিশে ভরসা না পেয়ে শেষ অবধি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।