সংক্ষিপ্ত
- হায়দরাবাদ গণধর্ষণ নিয়ে উত্তাল সারা দেশ
- ফিরে এল নির্ভয়ার ভয়ঙ্কর স্মৃতি
- সারা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ
- নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার জয়া বচ্চন
২০১২ সালের ডিসেনম্বরের পর ২০১৯ সালের নভেম্বর। ফের নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। ২৬ বছরের পশু চিকিৎসকে গণধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে হত্যার ঘটনায় গর্জে উঠেছে সারা দেশ। এই ঘটনা নিয়ে সংসদে সোচ্চার হলেন জয়া বচ্চন। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ এই নৃশংস ঘটনাকে রাজ্যসভায় তুলে ধরে দেএশর নারী ও শিশু সুরক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। ক্ষুব্ধ জয়া বলেন, "তেলেঙ্গানা ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের আম জনতার হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। এঁদের গণপিটুনি দেওয়া উচিত।"
সমাজবাদী পার্টির সাংসদ হিসাবে জয়া বচ্চন আরও বলেন, " জনগণ এই বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে একটি উপযুক্ত ও নির্দিষ্ট উত্তর জানতে চায়।"
সোমবার এআইএডিএমকে-র সাংসদ বিজিলা সত্যনাথও এই গণধর্ষণের বিষয়ে বলতে গিয়ে রীতিমত ভেঙে পড়েন। ক্ষুব্ধ বিজিলা বলেন, শিশু ও মহিলাদের জন্য এই দেশ নিরাপদ নয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তেলেঙ্গানা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেওয়া হোক, কেন্দ্র যাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে সেই অনুরোধও করেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার সকালে সামসাবাদের কাছে একটি কালভার্টের নীচ থেকে পশুচিকিৎসক তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। বছর ছাব্বিশের ওই তরুণীকে বুধবার রাতে গণধর্ষণের পর নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে গোটা দেশ। নিভর্য়াকাণ্ডের সাত বছর পরেও বদলায়নি নৃশংস ধর্ষণের সংস্কৃতি।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুজন ট্রাক চালক ও দুজন তাদের সহযোগী। বুধবার রাতে ঘণ্টাখানেক ধরে ওই ৪ অভিযুক্ত তরুণীকে ধর্ষণ করে এবং তারপর তাঁকে মেরে ফেলে। এরপর রাত আড়াইটার দিকে চাট্টানপল্লির একটি কালভার্টের নীচে তাঁর দেহটি ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।