সংক্ষিপ্ত

নিউজিল্যান্ডের একজন বিজ্ঞানীর এই ফলনকে স্বীকৃতি দিয়ে ফলাফলগুলি ছত্রাকের উপর মার্কিন বৈজ্ঞানিক জার্নাল মাইকোট্যাক্সনে প্রকাশিত হয়েছে, যা এই অঞ্চলের মাইকোলজিক্যাল ল্যান্ডস্কেপে একটি অভিনব সংযোজন ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মুর কিশতওয়ার জেলায় একটি যুগান্তকারী আবিষ্কারের খবর মিলেছে। ভারতে প্রথমবার ফলেছে বিরল প্রজাতির মাশরুম জেনাস। কিশতওয়ারের সরকারি ডিগ্রি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফয়সাল মুশতাক কিচলু এই আবিষ্কারের পিছনে রয়েছেন।

নিউজিল্যান্ডের একজন বিজ্ঞানীর এই ফলনকে স্বীকৃতি দিয়ে ফলাফলগুলি ছত্রাকের উপর মার্কিন বৈজ্ঞানিক জার্নাল মাইকোট্যাক্সনে প্রকাশিত হয়েছে, যা এই অঞ্চলের মাইকোলজিক্যাল ল্যান্ডস্কেপে একটি অভিনব সংযোজন ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

বুনো মাশরুমের ক্ষেত্রে প্রফেসর কিচলুর রিসার্চ মাশরুম গবেষণায় অভূতপূর্ব সন্ধান দিয়েছে যা পূর্বে ভারতে অজানা ছিল। এই অঞ্চলের পরিবেশগত সমৃদ্ধি তুলে ধরে কিশতওয়ার জেলার সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই আবিষ্কারটি করা হয়েছে। অধ্যাপক ফয়সাল মুশতাক কিচলু, তার জমি ফলা অয়েস্টার মাশরুম সবার সামনে তুলে ধরেন।

এই আবিষ্কারের তাৎপর্য বেশ সাড়া ফেলেছে। কারণ এটি একটি সম্মানিত আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে রিপোর্ট করা হয়েছে। এই মাশরুম প্রজাতির উদ্ভিদটি আণবিক ফাইলোজেনির পরিপূরক, সূক্ষ্ম মরফো-অণুবীক্ষণিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে করা হয়। গবেষণাটি ভারতের একটি স্বনামধন্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে পরিচালিত হয়েছিল, যা এই নতুন প্রজাতির বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

আবিষ্কারটি কেবল কিশতওয়ার জেলার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণাগারে গুরুত্ব যোগ করে না বরং আমাদের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য বোঝার এবং সংরক্ষণের ওপর গবেষণা প্রচেষ্টার গুরুত্বকেও বোঝায়। দুর্ভাগ্যবশত, আগস্ট মাসে মাইকোট্যাক্সনের প্রধান সম্পাদক লরেলি নরওয়েলের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে পাণ্ডুলিপিটি প্রকাশে দেরি হয়।

অধ্যাপক ফয়সাল মুশতাক কিচলু-এর গবেষণাপত্রটিও একজন বিশিষ্ট সহ-লেখকের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রধান বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছেন। এই সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা গবেষণা ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গভীরতা বাড়ায়।