শাহিদ লতিফকে ২০১০ সালে কংগ্রেসের ইউপিএ সরকার পাকিস্তানের প্রতি সৌজন্যের খাতিরে মুক্তি দিয়েছিল। এই শাহিদ লতিফ ২০১৬ সালে পাঠানকোট সেনা ঘাঁটিতে হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করে। 

পাকিস্তানে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর হাতে খুন পাঠানকোট হামলার মাস্টারমাইন্ড শাহিদ লতিফ। শাহিদ লতিফকে ২০১০ সালে কংগ্রেসের ইউপিএ সরকার পাকিস্তানের প্রতি সৌজন্যের খাতিরে মুক্তি দিয়েছিল। এই শাহিদ লতিফ ২০১৬ সালে পাঠানকোট সেনা ঘাঁটিতে হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করে।

Scroll to load tweet…

এই হামলায় দেশের ৭ জন বীর সেনা শহিদ হন। বুধবার পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে শাহিদ লতিফ নিকেশ হয়েছে বলে খবর। পাকিস্তানি মিডিয়ার মতে, শিয়ালকোটের উপকণ্ঠে একটি মসজিদে শাহিদকে খুন করা হয়। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে এসে গুলি করে পালিয়ে যায়। পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং হামলাকারীদের খোঁজ করছে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল লতিফের নাম। সূত্রের খবর জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত অনেক জঙ্গির সঙ্গে শাহিদ লতিফের যোগাযোগ ছিল। লতিফ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি বড় বড় জঙ্গি হামলা চালিয়েছে।

এএনআই ইউএপিএ-র ধারায় শাহিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। শাহিদ মূলত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালার বাসিন্দা ছিল। সে জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে শিয়ালকোট সেক্টরের কমান্ডার ছিল, তার মূল কাজ ছিল ভারতে জঙ্গিদের কার্যকলাপ নজরে রাখা, বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজের ছক কষা। 

১২ নভেম্বর ১৯৯৪ সালে গ্রেফতার হয় শাহিদ। প্রায় ১৬ বছর ভারতের জেলে ছিল সে। তারপর ২০১০ সালে তাকে ওয়াঘার মাধ্যমে পাকিস্তানের হাতে ছাড়া হয়। এরপর ২০১৬ সালে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে দোসরা জানুয়ারি হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল শাহিদ লতিফ। এছাড়া ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাইয়ের মামলারও অভিযুক্ত ছিল শাহিদ। পাঠানকোটে অবস্থিত বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।