- Home
- India News
- শুভসময় বেলা ১টা ২৮ মিনিটে খুলল পুরীর জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডার, জানুন কী করা হবে কাঁড়ি কাঁড়ি সোনাদানা
শুভসময় বেলা ১টা ২৮ মিনিটে খুলল পুরীর জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডার, জানুন কী করা হবে কাঁড়ি কাঁড়ি সোনাদানা
নির্ধারিত সময়ই সাপের আতঙ্ক নিয়েই খুলে গেল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ৪৬ বছর পর খোলা হল ভগবান জহন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডা। এই রত্নভাণ্ডার নিয়ে অনেক রহস্য, মিথ রয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডার খুলল
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। খুলে গেল জগন্নাথদেবের রহস্যে মোড়া রত্নভাণ্ডার। রবিবার দুপুর ১টা ২৮ মিনিটেই খোলা হয়েছিল রত্নভাণ্ডার।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যায়লের বার্তা
আজ, আপনার (ভগবান জগন্নাথের) ইচ্ছা অনুসারে, ৪৬ বছর পর রত্ন ভান্ডার একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে খোলা হয়েছে।
রত্নভাণ্ডারে প্রবেশ ১১ জনের
রত্নভাণ্ডার খোলার পর ১১ সদস্যের একটি দল পুরীর বিখ্যাত রত্নভাণ্ডারের ভিতরে প্রবেশ করে। দলে রয়েছে জগন্নাথ মন্দিরের প্রাশনের প্রধান প্রশাসন, পুরীর জেলা শাসক, ওড়িশা সার্কেলের এএসআই সুপারিনটেনডেন্ট, এসজেটিএ-র রত্নভাণ্ডার সাব কমিটির সদস্য, ওড়িশার সুপারভাইজারি প্যানেলের দুই সদস্য। সরকারি পক্ষে এই গোটা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন গজপতি মহারাজের এক প্রতিনিধি , অর্থাৎ পুরীর রাজপরিবারের এক সদস্য। সঙ্গে রয়েছেন জগন্নাথ মন্দিরের চার সদস্য সদস্য।
চাবি নিয়ে সমস্যা
রত্নভাণ্ডারের চাবি হারিয়ে গিয়েছিল। আর সেই কারণে দীর্ঘদিন খোলা হয়নি রত্নভাণ্ডার। এর আগেও ওড়িশা সরকার গুপ্তধনের ভাণ্ডার খোলার প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। শেষপর্যন্ত রবিবার খোলা হল রত্নভাণ্ডার। তবে গতকালই এক সদস্য জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তালা ভেঙে রত্নভাণ্ডারের তালা ভেঙে ঢোকা হবে।
শুভ সময় খোলা হয় রত্নভাণ্ডার
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শুভ সময় অর্থাৎ বেলা ১টা ২৮ মিনিটে রত্নভাণ্ডার খোলা হয়েছে। কোষাগার,অমূল্য অলঙ্কার সব খতিয়ে দেখা হবে।
আগে থেকেই শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি
মন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলার জন্য মূল্যবান জিনিসগুলি সরিয়ে রাখার জন্য তৈরি হয়েছিল একটি অস্থায়ী স্ট্রংরুম। সেখানেই আগে মূল্যবান জিনিস স্থানান্তরিত করা হয় বাক্স বোঝাই করে।
মূল উদ্দেশ্য জগন্নাথ দেবের সম্পত্তি খতিয়ে দেখা
রত্নভাণ্ডার কী কী রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। সেইজন্য বিশেষজ্ঞদেরও ডাকা হয়েছে। সরকার অনুমোদন দিলে তবেই কাজ শুরু করা হবে। কাজে স্বচ্ছ্বতা আনতে রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দলও উপস্থিত থাকবে।
অলঙ্কারের ডিজিটাল ফোটোগ্রাফি
ওড়িশার আইনমন্ত্রী হরিচন্দন জানিয়েছেন,অলঙ্কারের ডিজিটাল ফোটোগ্রাফি করা হবে। ডিজিটাল ডকুমেন্ট বা অলঙ্কারের ডিজিটাল ক্যাটালগ তৈরি করা হবে যা ভবিষ্যতে রেফারেন্স ডকুমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা
রত্ন ভান্ডার পরিদর্শনের জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI), মন্দিরের পরিচারক, ম্যানেজিং কমিটি এবং একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি সহ একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছিল। পুরী জেলা প্রশাসনের হাতে থাকা একটি ডুপ্লিকেট চাবি ব্যবহার করে কোষাগার খোলা হয়েছিল। কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে, একটি তালা ভাঙার দল, একটি মেডিকেল টিম এবং স্নেক হেল্পলাইন সদস্যদের সঙ্গে, স্ট্যান্ডবাইতে রাখা হয়েছিল।
রত্নভাণ্ডারের গঠন
মন্দিরের প্রবীণ পরিচালকের কথায় রত্নভাণ্ডার তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। বাইরের কক্ষে রয়েছে আচার অনুষ্ঠানের জন্য অলঙ্কার। আভ্যন্তরীণ কক্ষে রয়েছে জগন্নাথদেব, সুভদ্রা আর বলভদ্রের অব্যবহৃত গয়না। যা যুগ যুগ ধরে রারা ও ভক্তরা দান করে এসেছে। ভক্তদের দানের অন্যান্য সামগ্রীও রয়েছে।